
৯ আগস্ট থেকে ভ্য্কাসিন নেওয়া মার্কিন নাগরিকরা কোনো ধরনের কোয়ারেন্টিন ছাড়াই কানাডায় প্রবেশের সুযোগ পেলেও কানাডিয়ানদের এখন পর্যন্ত সীমান্ত পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সোমবার ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি লেভেল থ্রিতে উন্নীত করে সে দেশের নাগরিকদের কানাডা ভ্রমণের বিষয়টি ভেবে দেখার পরামর্শ দিয়েছে। তিন সপ্তাহ আগেও মার্কিন নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করে ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি লেভেল টুতে ছিল।
ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডা (টিআইএসি) বলেছে, লেবার ডের ছুটিকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত ধুঁকতে থাকা কানাডার পর্যটন খাতকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই ছুটিতে বিপুল সংখ্যক মার্কিনী সীমান্ত পেরিয়ে কানাডায় আসেন।
টিআইএসির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বেথ পটার বলেন, এটা আমাদের আওতার মধ্যে নেই। পড়ে যাওয়া ব্যবসাকে নতুন করে লাথি দেওয়ার মতো অবস্থা এটা।
হোটেল অ্যাসোসিয়েশন অব কানাডা (এইচএসি) বলেছে, মার্কিন নাগরিকদের কানাডা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করাটা হতাশাজনক। এমনিতেই হোটেল ও ইভেন্ট খাতকে কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক ক্ষতি আরও অনেক মাস বহন করতে হবে।
এইচএসির প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুসি গ্রাইনল এক বিবৃতিতে বলেছেন, হালনাগাদ উপাত্ত বলছে হোটেল শিল্প এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকের চেয়ে ৪০ শতাংশের বেশি সক্ষমতা কম ব্যবহার করছে। নতুন এ সিদ্ধান্ত পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত ভ্রমণের ক্ষেত্রে খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন ফ্লাইট সেন্টারের মুখপাত্র অ্যালিসন ওয়ালেস। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কেবল ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি দিয়েছে, ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।
কবে নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ট্রাভেল অ্যাডভাইজরির লেভেল নামিয়ে আনবে সেটাই বড় প্রশ্ন বলে মনে করেন ওয়ালেস ও পটার দুজনেই। পাশাপাশি কানাডিয়ানরা কবে নাগাদ স্থল সীমান্ত দিয়ে দক্ষিণে ভ্রমণের অনুমতি পাবে সেটাও বড় প্রশ্ন।