
ইনভেসিভ গ্রুপ এ স্ট্রেপটোক্যাল ডিজিজের (আইজিএএস) প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় রোগটির উপসর্গের ব্যাপারে অন্টারিওর হাসপাতাল ও শিশু চিকিৎসকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। ২৩ মের এক নথিতে প্রদেশের জনস্বাস্থ্য বিভাগের চিফ মেডিকেল অফিসার বলেছেন, অন্টারিওর সব বয়সীদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্তের হার বেড়ে গেছে। তাদের মধ্যে ১৮ বছরের কম বয়সী শিশুও রয়েছে।
বারবারা ইয়াফ নথিতে লিখেছেন, শূন্য থেকে ৪ বছর এবং ৬৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মদ্যে অসুস্থ্য হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি। যাদের রোগ প্রতিরোধক্সমতা দুর্বল, চিকেনপক্স হয়েছে এবং গৃহহীণ ও মাদক গ্রহণকারীরাও এতে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইজিএএসে আক্রান্ত কিছু শিশু বারবার রেসপিরেটরি ভাইরাল ইনফেকশনে ভুগছে।
নথিটি জরুরি বিভাগ, লেবার ও ডেলিভারি ইউনিট এবং প্রাইমারি কেয়ার সংস্থাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। গ্রুপ এ স্ট্রেপ (জিএএস) ব্যাকটেরিরা কারণে এক ধরনের সংক্রমণ, যা নাক, গলা, রেসপিরেটরি ড্রপলেট অথবা ক্ষত থেকে নিঃসরিত রস থেকে মানুষে মানুষে ছড়াতে পারে। সাধারণ নন-ইনভেসিভ অসুস্থতার মধ্যে রয়েছে স্ট্রেপ থ্রোট, স্কিন ইনফেকশন যেমন ইম্পেটিগো ও স্কারলেট ফিভার। সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
পাবলিক হেলথ অন্টারিওর তথ্য অনুযায়ী, ব্যাকটেরিয়া যখন রক্তের স্রোতে অথবা কোষের গহভীরে চলে যায় তখন সেটি ইনভেসিভ হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত এটা মারাত্মক ও জীবন বিপন্নকারী অসুস্থতা যেমন নিউমোনিয়ো, মেনিনজাইটিস, সেপটিসেমিয়া ও অন্যান্য গুরুতর রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
নন-ইনভেসিভ জিএএসের ক্সেত্রে চিকিৎসকদের দ্রুত তা মূল্যায়ন করে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এর সম্ভাব্য জটিলতা সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তবে ইনভেসিভ জিএএসের উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে হবে। কেউ আক্রান্ত হলে জনস্বাস্থ্য বিভাগকে তা জানাতে হবে।
২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৮৯৪ জনের আইজিএএসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছে অন্টারিও জনস্বাস্থ্য বিভাগ। তবে জানুয়ারি থেকে এটা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ২০১৪/১৫ মৌসুম থেকে এ পর্যন্তদ এক মাসে সবচেয়ে বেমি আক্রান্ত হয়েছে ২০২৩ সালের এপ্রিলে। আক্রান্তদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৮ বছরের ওপরে। যদ্রি এক থেকে চার বছর বয়সী ৪৫টি শিশুও আইজিএএসে আক্রান্ত হয়েছে। আইজিএএসে আক্রান্ত প্রায় ৭৪ শতাংশ রোগীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেক হয়েছে।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.