
১২র বছর বয়সী অন্যসব বালিকাদের মতো নয় আন্থি-গ্রেস প্যাট্রিসিয়া ডেনিস। সে খুবই প্রতিভাবান শিশু, যে কানাডার ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ইউনিভার্সিটি গ্র্যাজুয়েট হতে যাচ্ছে।
শনিবার সে ইউনিভার্সিটি অব অটোয়া থেকে বায়োমেডিকেল সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি গ্রহণ করে। প্রোগ্রামটি যখন সে শুরু করে তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর, যে সময় তার বয়সী প্রায় সবাই খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বিশাল এই অর্জনে অবাক বালিকার অনুভূতি কী? এক সাক্ষাৎকারে প্যাট্রিসিয়া ডেনিস বলে, আমি খুবই গর্বিত। আমার বিশ^াস আমি এই মঞ্চ থেকে ছিটকে যাবো না। শুধু মানুষের জন্য নয়, আমি নিজের জন্যও দারুণ সুখী। এই অর্জনের জন্য আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। আমার মতো মানুষের সামনে যেসব প্রতিবন্ধকতা থাকে সেগুলো অতিক্রম করে আমি এই সাফল্য পেয়েছি।
এই অর্জনে তার মা জোহানা ডেনিসের চেয়ে আর কেউ নিশ্চয় এতো গর্বিত নন। ডেনিস বলেন, তার মেয়ে যে বিশেষ ক্ষমতার অধিকারীসেটা তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যখন তার বয়স আড়াই বছর তখনই। এই দুইজনের মধ্যে বন্ধনটা অত্যন্ত দৃঢ়।
ডেনিস একজন সিঙ্গেল মাদার এবং তিনি তার অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ার নিজেই তৈরি করেছেন। বেশ কিছু ডিগ্রি অর্জনের পর পেশায় এখন তিনি আইনের অধ্যাপক এবং তার মেয়ের পড়াশোনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মাকে উদ্দেশ্য করে প্যাট্রিসিয়া ডেনিস বলে, আমার সঙ্গে থাকার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। আমার মনে হয়, এই গ্র্য্জাুয়েশনের এটাই মূল উদ্দেশ্য। যখনই প্রয়োজন পড়েছে তখনই আমি তাকে পাশে পেয়েছি। অন্যদের আমার পরামর্শ থাকবে, যারা তরুণ, প্রতিভাবান ও মেধাবি তোমরা অন্যদের প্রত্যাশা ধুলায় মিশিয়ে দিও না। যেখানেই আমি গিয়েছি, সেখানেই আমাকে নানা প্রতিকূলতার মধ্যে পড়তে হয়েছে।
অন্য প্রতিভাবান শিশুদেরও উৎসাহিত করতে চায় প্যাট্রিসিয়া ডেনিস। তার ভাষায়, কোনো কিছুতে আমি প্রথম হতে পারি এই ভাবনা আমাকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। প্রতিভাবান অন্যদের পক্ষেও এটা দেখিয়ে দেওয়া সম্ভব।