
তিনটি লং-টার্ম কেয়ার হোম পুনঃউন্নয়নে অন্টারিও তার ক্ষমতা ব্যবহার করছে। কেয়ার হোমগুলোর মালিক কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মহামারি চলাকালে ব্যাপক অবস্থাপনার অভিযোগ উঠেছিল। কোম্পানিটির কেয়ার হোমগুলোতে মৃত্যুও হয়েছিল অনেক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও জ্যেষ্ঠ নাগরিকরা বলছেন, অন্টারিওর পিকারিংয়ের অর্চার্ড ভিলা, পোর্ট হোপ এবং অটোয়ার একটি লং-টার্ম কেয়ার হোমের পুনঃউন্নয়নে গতি আনতে মিনিস্ট্রিয়াল জোনিং অর্ডার ব্যবহার করায় আমরা ক্ষুব্ধ।
সবগুলো লং-টার্ম কেয়ার হোমই সাউথব্রিজ কেয়ার হোমসের মালিকানাধীন।
ক্যাথি পার্কস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, আমি সত্যিই ক্ষুব্ধ ও হতাশ। প্রদেশ এমন একটি কোম্পানিকে সহায়তা করছে যাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। ২০২০ সালের এপ্রিলে অর্চার্ড ভিলায় কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত তার বাবার মৃত্যু হয়।
২০২০ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাস যখন হানা দেয় তখন অর্চার্ড ভিলার অসংখ্য বাসিন্দা মারা যান। কেয়ার হোমটির ব্যবস্থাপনা এতটাই খারাপ ছিল এটিসহ আরও ছয়টি কেয়ার হোমের ব্যবস্থাপনায় সামরিক বাহিনীকে তলব করে প্রদেশ। পরবর্তীতে সামরিক বাহিনী যে প্রতিবেদন দেয় তাতে ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পোকামাকড়ের সংক্রমণ ছিল ব্যাপক এবং বাসিন্দাদের সাহায্যের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা চিৎকার করতেক হতো। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের অন্যদের থেকে আলাদা করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সাউথব্রিজ কেয়ার হোমসের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া দেওয়া হয়নি। অর্চার্ড ভিলায় যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারগুলো কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ২০ কোটি ডলারের ক্লাস অ্যাকশন মামলা করেছে।
সিনিয়রস ফর সোশ্যাল অ্যাকশন অন্টারিওর সহপ্রতিষ্ঠাতা প্যাট্রিসিয়া স্পিনডেল বলেন, সাধারণ পরিকল্পনা ও নাগরিকদের সঙ্গে পরামর্শ এড়িয়ে গিয়ে পোর্ট হোপ, পিকারিং ও অটোয়াতে মিনিস্ট্রিয়াল জোনিং অর্ডারস জারির মধ্য দিয়ে সাউথব্রিজের পক্সে কাজ করছে ডগ ফোর্ডের সরকার। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন? কেন ফোর্ড সরকার একটি লং-টার্ম কেয়ার কোম্পানির পক্ষে দ্রুতগতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিলো, যাদের ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা ও কিছু কাউন্সিলের আপত্তি রয়েছে।