
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সোমবার নর্ডিক দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এর উদ্দেশ্য সমমনোভাবাপন্ন দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করা।
রাশিয়ায় স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেতারা। যদিও ট্রুডো বলেছেন, যুদ্ধের ক্ষেত্রে এটা কী অর্থ বয়ে আনবে তা বলার মতো সময় এখনো আসেনি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি এর প্রকৃত তাৎপর্য কী সে ব্যাপারে প্রত্যেকের মনেই অনেক প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু আমরা অনেক প্রশ্নেরই উত্তর এখনো পাইনি। এ ব্যাপারে অতিমাত্রায় ভবিষ্যদ্বানী উল্টো ফল ডেকে আনতে পারে। আমরা যেটা নিয়ে আলোচনা করছি এবং করে যাবো তা হলো আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ ও ফলাফল, আমাদের জনগণের নিরাপত্তা এবং বৈশি^ক স্থিতিশীলতা। এটাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
ওয়াগনার গ্রুপের এই বিদ্রোহকে রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেন ট্রুডো ও অন্য নেতারা। তবে ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন তুলে ধরেন তারা।
ট্রুডো বলেন, অবশ্যই এটা রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ইউক্রেনের সমর্থনে আমাদেরকেও উঠে দাঁড়াতে হবে, নিজেদের শক্তিশালী হতে হবে।
জুলাইয়ের মাঝামঝি সময়ে লিথুয়ানিয়ায় ন্যাটো নেতাদের সম্মেলনের আগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো। সম্মেলনে সুইডেন ন্যাটোতে যোগদান করতে চায় এবং কানাডার তাতে সমর্থন রয়েছে। আইসল্যান্ডের বৈঠকে এ বিষয়টিও গুরুত্ব পায়। সুএডনের প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। তিনি বলেন, ন্যাটোতে আপনাদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সমর্থনকারী প্রথম দেশ হতে পেরে কানাডা গর্বিত। তবে এখনো অনেক কাজ করতে হবে।