ভার্চুয়াল যোগাযোগমাধ্যম ইমোতে প্রেম করে প্রায় ৬ লাখ টাকা খুইয়েছেন এক তরুণ। চট্টগ্রামের লোহাগড়ায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়ে পরিচয়ে প্রতারণা বুঝতে পেরে দিশেহারা ওই তরুণ শেষ পর্যন্ত আদালতের দারস্থ হয়েছেন।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ জিহান সানজিদার আদালতে ভুক্তভোগী তরুণ এ বিষয়ে মামলা দায়ের করলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী তরুণের নাম- মাহমুদুল হাসান জিসান (১৭)। তিনি লোহাগাড়া থানার চরম্বা ইউনিয়নের আবুল হাশেমের ছেলে। পাশাপাশি জিসান একটি মাদ্রাসার ছাত্র।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুলাই ভিকটিম জিসানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। অপরপ্রান্তে মুন্নি আক্তার নামে এক তরুণী নিজেকে চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের মেয়ে পরিচয় দিয়ে কথা বলেন। এভাবে কথা হতে হতে একসময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের একপর্যায়ে কয়েক দফায় বাবার অসুস্থতা, ছিনতাইয়ের শিকারসহ বিভিন্ন অজুহাতে জিসানের কাছ থেকে পৌনে ৬ লাখ (৫ লাখ ৮২ হাজার) টাকা হাতিয়ে নেন ওই তরুণী। এসব টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠানো হয়। ৬ জুলাইয়ের মধ্যে এসব টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কথা বললেও বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকেন ওই তরুণী। পরে উপায় না পেয়ে আদালতের দারস্থ হন জিসান।
জিসানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মওলা মুরাদ বলেন, ইমোতে প্রেমের সূত্র ধরে জিসান মুন্নিকে প্রায় ছয় লাখ টাকা পাঠান। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে তিনি মামলা করেছেন। আদালতে টাকা লেনদেনের সকল প্রমাণপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল