ঢাকা-১৭ আসন উপনির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত গুলশান-বনানী-ভাষানটেক, সেনানিবাস এলাকায় পাচঁ মাসের জন্য এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ব্যালটের মাধ্যমে ১২৪টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলে। ঢাকা-১৭ আসন উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি।
১২৪টি ভোটকেন্দ্রের নৌকার মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত পেয়েছেন ২৮ হাজার ৮১৬ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী হিরো আলম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৬০৯ ভোট। তবে তাকে মারধরের ঘটনায় ভোটগ্রহণের শেষে ভোট বর্জন করেছেন তিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এই নির্বাচনে ভোটা পড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
এই নির্বাচনে মোহাম্মাদ আলী আরাফাত ও হিরো আলম ছাড়াও আরও ছয়জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করছেন। তারা হলেন, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির প্রার্থী গোলাপ ফুল মকাজী রাশিদুল হাসান,কংগ্রেসের রেজাউল ইসলাম স্বপন ডাব প্রতীকে, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের আকতার হোসেন ছড়ি প্রতীকে, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান সোনালী আঁশ প্রতীকে, স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম ভূইয়া ট্রাক প্রতীক।
ঢাকা-১৭ আসনে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন ভোটার। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।
ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাসানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে গঠিত। সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক)গত ১৫ মে মারা যাওয়ার পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনার মো.আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবে ভোট শেষ হয়েছে। ১২৪টি কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। একটি কেন্দ্রের পরিস্থিতি দিয়েতো বলা যায় না নির্বাচন অসুষ্ঠু হয়েছে। বিষয়টা হলো যে আমরা সঠিক অবস্থাটা এখনও জানতে পারিনি। আমরা বিচ্ছিন্ন কিছু তথ্য জানতে পেরেছি। কিছু আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমে জেনেছি, কিছু আমাদের রিসোর্সের মাধ্যমে জেনেছি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত (মোহাম্মদ এ আরাফাত)। সামাজিক মাধ্যমে তিনি পরিচিত ‘এ আরাফাত’ প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক জনগোষ্ঠীর কাছে খুব চেনা মুখ। খুব বেশি দিন হয়নি তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হয়েছেন। বরং তিনি তার অনেক আগে থেকেই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যুক্তিনিষ্ঠ বক্তব্য উপস্থাপন এবং ইতিবাচক বাংলাদেশের জয় কীর্তনে মুখরিত করেছেন। তিনি এজন সুবক্তা, লেখক ও সংগঠক।
তিনি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পলিসি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি সামাজিক সংগঠন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। এক সময় অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চ্যালেঞ্জ, ট্রানজিট এবং কানেক্টিভিটি, বিদ্যুৎ খাতের জন্য উপযুক্ত নীতি, যুদ্ধাপরাধের বিচার, বাংলাদেশে রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে অনেক কলাম লিখেছেন।
সূত্র : ঢাকাটাইমস