
কানাডায় এক ডজন ডিমের দাম বছর খানেক আগেও ছিল আড়াই/তিন ডলার। এখন এক ডজন ডিম চার ডলারে কিনতে হচ্ছে।
অক্টেন প্রতি লিটার বছর খানেক আগেও ছিল ৮০ সেন্ট। এখন প্রতি লিটার ১ ডলার ৫০ সেন্টে কিনি। দাম প্রায় দ্বিগুন। অক্টেন কিনতে গেলে মন থেকে গালিগালাজ চলে আসে।
অথচ কানাডা পেট্রোলিয়াম রপ্তানি করে। আবার আমদানীও করে। আমেরিকায় রপ্তানি করে, আবার আমেরিকা থেকে আমদানী করে। আজব না!
কানাডায় খাবার দাবারের দাম বেড়েছে অনেক। দুই সিদ্ধ চাল ১০ কেজি দশ ডলারে কিনতাম, এখন কিনি ১৮ ডলার দিয়ে। ভোজ্য তেলের দামও তিনগুন।
ব্যাংকের সুদের হার বেড়ে কয়েক গুন হয়েছে। বাড়ির মর্টগেজের (হাউজ লোন) ওপর সুদ ছিল ২ শতাংশের নীচে, এখন সাড়ে ৬ শতাংশ। কাজেই বাড়ি কেনা এখন খুব কঠিন। বাসাভাড়াও দ্বিগুন। এক বেডরুমের এপার্টমেওন্টরভাড়া মাসিক ২ হাজার ডলার। গাড়ির দামও এখন খুব চড়া।
এখানে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে কিন্তুু কখনোই বিদ্যুতের লোড শেডিং হয়না। কোন বিপর্যয়ের কারনে হয়ত বিতরন লাইনের ক্ষতি হলে অন্য কথা।
বিদ্যুত মানে শক্তি। মানে অর্থনীতির চালিকা শক্তি। বিদ্যুৎ না থাকলে শিল্প নির্ভর অর্থনীতি ফুটুস। সেজন্যই হয়ত কানাডা বিদ্যুতের লোড শেডিং করেনা।
কানাডায় জিনিস পত্রের দাম বাড়ার জন্য হয়ত অকটেনের মুল্যবৃদ্ধি দায়ী। কারন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ট্রাকে বোঝাই করে আমদানী করতে হয়। আবার যে দেশে দ্রব্যাদি উৎপাদিত হয়, সেখানে তা উৎপাদন করতে শক্তি খরচ হয়। সেই শক্তির দামও বেড়ে গেছে।
জিনিস পত্রের দাম বাড়লেও বেতন বাড়েনি। তাহলে উপায় কী? উপায় একটা আছে। বাংলাদেশে চলে যাওয়া।
বাংলাদেশে যে চলে যাবো সেখানেও তো শুনি সব কিছুর দাম বেশী। তার ওপর নাকি আবার বিদ্যুত থাকেনা। সবাই গরমে অস্থির।
সামনে নিবার্চন। সেজন্য নাকি রাজনীতিও নাকি গরম হয়ে উঠছে। তার মধ্যে আবার বাংলাদেশের জন্য আমেরিকা নতুন ভিসা নীতি ঘোষনা করেছে। কানাডার নীতিও হয়ত তাই। ফলে বাংলাদেশ আমেরিকার মধ্যে সম্পর্কের নয়া মেরুকরন শুরু হয়েছে।
এ অবস্থায় আমরা বাংলাদেশী আমেরিকান অথবা বাংলাদেশী কানাডিয়ানরা একটু অস্বস্তির মধ্যেই আছি। আমাদের মান রাখি, না কূল রাখি অবস্থা। আমরা প্রবাসীরা কী তাহলে ফাটা বাশের চিপায়?
বিদ্যুত আছে বলেই এখনো ফ্যানের এসির বাতাশে মাথাডা কিছুটা ঠান্ডা আছে।