
টরন্টোগামী একটি ফ্লাইটের এক যাত্রীকে দিয়ে এয়ার ফ্রান্স রক্তমাখা কার্পেট পরিষ্কার করিয়ে নিয়েছে বলে ওই যাত্রী জানিয়েছেন। স্বাধীন সাংবাদিক ও বেইরুট রিপোর্টের প্রতিষ্ঠাতা হাবিব বাত্তাহ বলেন, ৩০ জুন তিনি ও তার স্ত্রী প্যারিস থেকে টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টগামী একটি ফ্লাইটের যাত্রী হয়েছিলেন। তাদের পোষা দুটি বিড়ালও তারা সঙ্গে নিয়েছিলেন। এই প্রথম তারা পোষ্য নিয়ে ভ্রমণ করছিলেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমি কিছুটা সঙ্কায় ছিলাম।
সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বাত্তাহ বলেন, তারা যখন চার্লস দ্য গল বিমানবন্দরে পৌঁছান তখন ফ্লাইট এক ঘণ্টা বিলম্বিত হয়। উড়োজাহাজে উঠে তাদের বিড়ালগুলোকে আসনের নিচে প্যাক করে রাখেন। কিছুক্ষণ পরই কিছু একটা গন্ধ টের পান এবং বুঝতে বাকি থাকে না যে, বিড়ালগুলো কিছু একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন আমি এটা কীভাবে পরিষ্কার করব? আমি অন্য কিছু ভেবেছিলাম। ভেবেছিলাম অন্য যাত্রীর শরীরের গন্ধ অথবা অন্য কিছু। এটা কী আমি জানতাম না। কিন্তু দুর্গন্ধটা টের পাচ্ছিলাম।
তিনি বলেন, উড়োজাহাজে আলো কম থাকায় আসনের নিচ থেকে ক্যাট ক্যারিয়ারটি বের করে হাত ও হাঁটুর ওপর রাখার পরও আমি কিছু বুঝতে পারিনি। ক্যারিয়ারটি আসনের নিচে রাখার সময় মেঝেতে হাত পড়তেই বুঝতে পারেন ওই জায়গাটা ভেজা। এরপর সাধারণ দাগ মনে করে তিনি মেঝে পরিষ্কার করতে শুরু করেন। কিন্তু টিস্যুগুলো সব রক্তের মতো লাল হয়ে যাচ্ছিল। এরপর পুরো ক্যাট ক্যারিয়ারটিতে দাগ লক্ষ্য করেন।
১৫ মিনিট ধরে টিস্যু দিয়ে মেঝে পরিস্কারের চেষ্টা করার পর একজন অ্যাটেন্ড্যান্ট এসে তাকে কিছু ভেসা ন্যাকড়া ধরিয়ে দেন। আরেকজন অ্যাটেন্ড্যান্ট এসে বলেন, আগের যাত্রীর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তিনি আমাকে বরং তাহ ধুয়ে ফেলতে বলেন। সেটা করার পর তারা আমাকে ল্যাটেক্স গ্লাভস ও আরও কিছু ভেজা ন্যাকড়া এনে দেন। তারা আসলে তারা যাত্রীকে এসব করতে বলছিলেন।
এয়ার ফ্রান্সও সিটিভি নিউজ টরন্টোকে দেওয়া এক বিবৃতিতে আগের যাত্রীর রক্তক্ষরণের বিষয়টি স্বীকার করেছে।