
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারুণ্যের সমাবেশে বক্তব্য দেন ডা সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
সরকারবিরোধী কথা বলার কারণে চাকরি হারিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন শেরপুর-১ (সদর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা।
গতকাল শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ডাকা তারুণ্যের সমাবেশে এ কথা বলেন ডা. প্রিয়াংকা।
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা সকল তরুণরা একসঙ্গে একত্রিত হয়েছি। আমাদের তরুণ বন্ধুরা আজ হাহাকার করে। আমরা কেউ কেউ চাকরিচ্যুত, কেউ কেউ আমরা ভালো প্রমোশন পাই না, কেউ কেউ আমরা চাকরি পাই না। আমরা বিসিএস চাকরি পাই না শুধু এই অবৈধ সরকার বাহিনীর জন্য।’
ডা. প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমি ২০১৮ সালে ইলেকশন করেছিলাম শেরপুর-১ (সদর) আসন থেকে, ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে। দেশনায়ক তারেক রহমান স্যার আমাকে ধানের শীষের প্রতীক দিয়েছিলেন। এটাই ছিল আমার দোষ, এটাই ছিল আমার পাপ। আপনারা দেখেছেন, ১৮ সালের ইলেকশনে আমার গাড়িবহরে হামলা করা হয়। ডিসি অফিসে আমি যখন প্রতিবাদ করি, সেটা পুরো দেশবাসীসহ সারা বিশ্ববাসী দেখেছে। সেটা ছিল আমার অপরাধ।’
সেই অভিজ্ঞতা তুলে ধরে এই নেত্রী বলেন, ‘এই পাঁচটা বছরে আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অবশেষে ২০২৩ সালে ২৯ জুন আমাকে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা বাহিনী একটি রুমে বদ্ধ করে আমার মুঠোফোন চেক করে এবং মুঠোফোনটি ফরেনসিকের জন্য নিয়ে যায়। শুধুমাত্র আমি সরকারবিরোধী কথা বলি দেখে, সরকারবিরোধী সমাবেশগুলোতে অংশগ্রহণ করি বলে। এই ঘটনার ঠিক তিন দিন পরে আমার কর্মস্থল থেকে জোরপূর্বক চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।’
চাকরিচ্যুত ডা. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াংকা বলেন, ‘আমি জানতে চাই, আমার দোষ কোথায়। আমার প্রথম পরিচয় আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমার দ্বিতীয় পরিচয় আমি একজন নারী এবং আমি একজন চিকিৎসক। আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চাই, দেশের মানুষের জন্য সেবা করতে চাই।’
ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে তারুণ্যের সমাবেশে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাই। আমরা আমাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চাই।’