
শৈশবে জোনাকি পোকা দেখার কথা এখন মনে করতে পারেন অ্যারন ফেয়ারওয়েদার। বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব গুয়েল্ফের এই গবেষকের আশঙ্কা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আলো দূষণ বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে। এর ফলে পরবর্তী প্রজন্ম তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হবে।
তিনি বলেন, এটা সত্যিই দুঃখের যে আমরা তাদেরকে হারাতে বসেছি। এই গ্রীষ্মে সার্বিকভাবে গত গ্রীষ্মের তুলনায় এই পোকাটির সংখ্যা বেশি দেখা গেলেও গত পাঁচ দশকে তাদের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আমেরিকান কনজার্ভেশন গ্রুপ এক্সারসেস সোসাইটির জ্যেষ্ঠ জীববিজ্ঞানী ক্যানডেস ফ্যালন বলেন, উত্তর আমেরিকায় জোনাকির ১৭৩টি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কানাডায় পাওয়া গেছে ২৯টি প্রজাতি।
২০২১ সালে প্লস ওয়ানে প্রকাশিত এক গবেষণার প্রধান লেখক ছিলেন ফ্যালন। তিনি বলেন, জোনাকির প্রতি তিনটি প্রজাতির মধ্যে একটি বিলুপ্তির হুমকিতে থাকতে পারে। কিছু প্রজাতি শনাক্ত হওয়ার আগেই বিলুপ্তও হয়ে যেতে পারে। এই ১৭৬৩টি প্রজাতির মধ্যে আছে ব্ল্যাক ঘোস্ট নামে পরিচিত গ্লো ওয়ার্ম, যা ব্রিটিশ কলাম্বিয়াতে পাওয়া গেছে। এর আকৃতি পাঁচ থেকে সাত মিলিমিটার। তবে এই প্রজাতিটির ব্যাপারে অন্য কোথাও তেমন একটা জানা যায় না।
ফেয়ারওয়েদার বলেন, সারা বিশে^ই পতঙ্গের সংখ্যা কমে আসছে। এই পরিণতির শিকার হচ্ছে জোনাকিরাও। মানুষ যা উপলব্ধি করতে পারছে না তা হলো বাগান ও জলপথের জন্য এগুলোর উপকারিতা। গ্রীষ্মে বাগানে যেসব জোনাকি দেখঅ যায় সেগুলো প্রাপ্ত বয়স্ক এবং তাদর জীবনকাল কয়েক সপ্তাহ মাত্র। কিন্তু লার্ভা হিসেবে পতঙ্গটি দুই বছর পর্যন্ত মাটির নিচে থাকতে পারে।