
প্লেটারস্কি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে নিজের বিনিয়োগ শুরু করেন ২০২০ সালে। এরপর তা বিস্তৃত হয় বন্ধু ও পরিবারের মধ্যে এবং বিলাসবহুল গাড়ি লিজ নিতে শুরু করেন। এর পরের বছর থেকেই ক্রিপ্টো বাজারে পতন শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রত্যেকের কাছে আমার সৎ থাকা উচিত ছিল। তাদের বলা দরকার ছিল যে, আমি অনেক অর্থ খুইয়েছি।
কিন্তু তা না করে তিনি হারানো অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করতে থাকেন এবং এর ফলে আরও অর্থ খোয়ান।
১২ মিনিটের ভিডিওতে প্লেটারস্কি বলেন, সব কিছুর জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। আমরা কারো জীবন ধ্বংস করতে চাইনি। আমি সত্যিই খুব লজ্জিত।
ক্রিপ্টোকারেন্সি ও বৈদেশিক মুদ্রার বিনিয়োগকারীদের কাছে প্লেটারস্কির দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন কোটি ডলার। এই বিনিয়োগকারীরা এক বছর আগে প্লেটারস্কি দেউলিয়াত্বের আবেদন করার আগে এই অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করেছিলেন।
সিটিভি নিউজ টরন্টো এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য প্লেটারস্কির আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পায়নি।
ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণ দেখিয়ে পুলিশও প্লেটারস্কির প্রকৃত নাম প্রকাশ করেনি। তবে তাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বলেছে, অপহরণকারীরা প্লেটারস্কিকে একটি গাড়িতে উঠতে প্রলুব্ধ করে এবং অস্ত্রের মুখে তাকে তিনদিন আটকে রাখে। এরপর অপহরণকারীরা তাকে ডাউনটাউন টরন্টোতে ছেড়ে দেয়। সেই সঙ্গে তার কাছে বিপুল অংকের অর্থ দাবি করেছে এবং তার নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবননাশের হুমকি দিয়েছে।
আদালতের নথিতে দেখা যায়, অপহরণকারীরা প্লেটারস্কিকে মুক্তি দেওয়ার আগে বিপুল অংকের মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টায় ছিল। এ ঘটনায় চার সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে।
টরন্টোর বাসিন্দা হেউডের বিরুদ্ধে অপহরণ, মুক্তিপণের জন্য অপহরণ এবং জোরপূর্বক আটকে রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে। টরন্টোর আরেক বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সী ডেরেন আকিয়াম-পঙের বিরুদ্ধে ২০টির বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে। লন্ডনের নবাসিন্দা ২৪ বছর বয়সী রাকিম হেনরির বিরুদ্ধে একই ধরনের ১৫টির বেশি অভিযোগ আনা হয়েছে। জুলাইয়ের শুরুর দিকে অভিযুক্তদের আদালতে উপস্থাপনের কথা ছিল।