
পরকীয়া সম্পর্ক ফাঁস হওয়ার ভয়ে দুই যুবককে হত্যার করেন ব্রিটিশ টিকটক তারকা মাহেক বুখারী ও তার মা আনস্রিন বুখারি। ওই হত্যাকাণ্ডকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে আদালতের রায়ে তাদের দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বছর ১১ ফেব্রুয়ারি প্রাণ হারান ২১ বছর বয়সী দুই যুবক। সাকিব হুসেইন ও মোহাম্মদ হাশিম ইজাজউদ্দিনের মৃত্যুকে তখন দুর্ঘটনা বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে সেটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ডেইলি মিরর জানায়, সাকিবের সঙ্গে মাহেকের মা আনস্রিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিন বছরের সেই সম্পর্ক ভাঙতে চাইছিলেন আনস্রিন। কিন্তু সাকিব রাজি হচ্ছিলেন না, তিনি আনস্রিনের স্বামীর কাছে প্রেমের বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছিলেন।
পুলিশ জানায়, আনস্রিন তখন সাকিবকে টাকারও লোভ দেখান। এরপর মা-মেয়ে মিলে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। ঘটনার দিন রাতে মা-মেয়েসহ আরও ছয়জন লেস্টারের হ্যামিল্টনে সাকিব ও তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যান। তারা আটজন অডি টিটি এবং সিট লিওন ব্র্যান্ডের দুটি গাড়িতে বসেছিলেন।
কিছুক্ষণ পর সাকিব তার বাল্যবন্ধু মোহাম্মদ হাশিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি। ওই দুই গাড়ি নিয়ে তাদের ধাওয়া করেন মাহেক ও তার মা। সিসিটিভি ফুটেজ থেকেও বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তারা জানায়, পালানোর সময়ই ট্রিপল নাইনে কল করে পুলিশের সাহায্য চায় সাকিব।
পুলিশের সাহায্য চেয়ে সাকিব বলেন, ‘আমাকে দুটি গাড়ি ধাওয়া করছে, তারা আমাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তা থেকে ফেলে দিতে চাইছে, তারা আমাকে হত্যা করতে চাইছে।’
তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা জানায়, সাকিব ও তার বন্ধুকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।
লেস্টার ক্রাউন কোর্টের রায়ে, আনস্রিন, মাহেক, তাদের সঙ্গে থাকা রাইস জামাল ও রেকান কারওয়ানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। সানাফ গুলাম মোস্তাফা, আমির জামাল ও নাতাশা আক্তার নামে আরও তিনজনকে খুনের দায় থেকে মুক্তি দেওয়া হলেও সহযোগিতার কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ জনপ্রিয় মাহেক। টিকটকে তার ১ লাখ ২৬ হাজার ফলোয়ার রয়েছে। তাকে মায়া অনলাইন নামে অনেকে চেনে। ফ্যাশন, বিউটি প্রোডাক্ট ও জুয়েলারি নিয়ে লাইভ করে থাকেন তিনি। তার মা মাহেকও বেশ কিছু ভিডিওতে অংশ নিয়েছেন।