
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কয়েক দিন আগে সোফিয়ার সঙ্গে ১৮ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী এ ব্যক্তির বিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি নতুন ট্রেন্ড চালু হয়েছে। যেখানে অনেককেই প্রশ্ন করতে দেখা যায়, নারী আসলে কীসে আটকায়? এমন প্রশ্নের উত্তরে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও বাদ যাচ্ছে না। জানিয়েছেন একেক তারকার একেক মন্তব্য। এবার এ বিষয়ে কথা বলেছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, ববি ও তমা মির্জা।
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের মতে, নারীরা আটকায় ভালোবাসায়। এর পর সম্মান সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে। নায়িকা ইয়ামিন হক ববি মনে করেন, নারী মায়ায় আটকে যায়। ‘সুড়ঙ্গ’খ্যাত চিত্রনায়িকা তমা মির্জার মতে, নারী আটকায় কমিটমেন্টে।
অপু বলেন, ‘নারীরা প্রথমত আটকায় ভালোবাসায়। ভালোবাসার বন্ধনে নারী আটকে যায়। এর পর বিশ্বাস আর সম্মানে সম্পর্ক টিকে থাকে। একটি সম্পর্কে এগুলো যখন থাকবে না, তখন অন্য কিছু দিয়ে আটকে রাখা সম্ভব নয়। টাকা কিংবা ক্ষমতার মোহ শুধু নারীর নয়, পুরুষেরও থাকে। তবে আমি মনে করি, এটি নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য। এর পর মোহ ভঙ্গ হয়। কিন্তু ভালোবাসা, বিশ্বাস আর সম্মান থাকলে সে সম্পর্ক কখনো নষ্ট হয় না।’
ববি বলেন, ‘নারী মায়ায় আটকে থাকে। মায়ার টানে দুজনের সম্পর্ক টিকে থাকে। এটি যখন উঠে যায়, তখন অন্য কিছুর জন্য সম্পর্ক থাকে না। নারী মায়ায় আটকে যায়।’
তমা বলেন, ‘নারীর কমিটমেন্ট অনেক শক্তিশালী। কমিটমেন্টে নারী আটকায়। আমি মনে করি কমিটমেন্ট আর ভালোবাসায় নারী আটকে যায়।’
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘একটি মেয়ে সম্পর্ক থেকে শুধু ভালোবাসা, যত্ন এবং স্নেহ চায়। আর কিছু না।’
অভিনেত্রী সোহানা সাবা মনে করেন, কাউকে আটকানোর চেষ্টা করাই উচিত না। তিনি বলেন, ‘ছেলে হোক আর মেয়ে— শুধু শুধু কাউকে আটকানোর চেষ্টা করেন না। এসব খুব ক্ষ্যাত আলোচনা। যাকে ভালোবাসেন, তাকে শুধু নিঃস্বার্থের মতো ভালোবেসে যান, তা হলে সে সেই আরামের ঘর ছেড়ে আর কোথাও যাবে না।’