5.2 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

আইডিয়ালের ছাত্রীকে বিয়ে করা মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

আইডিয়ালের ছাত্রীকে বিয়ে করা মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা - the Bengali Times

ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করে এবার ঢাকায় মামলা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এই মামলার অপর আসামি হলেন ওই কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী।

- Advertisement -

আজ বৃহস্পতিবার বাদীপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮-এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।

আইডিয়ালের ছাত্রীকে বিয়ে করা মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা - the Bengali Times

মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে সিনথিয়া ইসলাম তিশা মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতো এবং ছাত্রীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে আনত। খোঁজখবর নেওয়ার নামে ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করত। কিছুদিন পর মুশতাক কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় তার মেয়ে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকাছাড়া করার হুমকি দেয়। অধ্যক্ষর কাছে বারবার প্রতিকার চাইলেও কোনো সহযোগিতা না করে বরং অভিযুক্ত মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন।

এর আগে গত ২২ জুন আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। ওই মামলায় সাক্ষ্য দিতে ১৮ জুলাই ঠাকুরগাঁও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যান ওই ছাত্রী।

আদালতের জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী জানান, তাকে অপহরণ ও ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ঠাকুরগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা ওই ছাত্রীর মেডিকেল ও ডিএনএ রিপোর্ট করাতে চাইলে সিনথিয়া তাতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ধর্ষণ বা অপহরণের শিকার হইনি। তাই এসব রিপোর্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।’

আইডিয়ালের ছাত্রীকে বিয়ে করা মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা - the Bengali Times

জবানবন্দিতে ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ও সাবালিকা। নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আমার আছে। আমি মুশতাককে নিজ ইচ্ছায় বিয়ে করেছি। তিনি কোনো জোরজবরদস্তি করেননি। আমার বাবা যে মামলা করেছেন, তা আমার স্বামীকে হয়রানি করার জন্যই করেছেন।’

পরে আদালত তাকে নিজ জিম্মায় যেতে আদেশ প্রদান করেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী তিনি নিজ জিম্মায় গিয়ে আদালত কিংবা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার তলবে নির্দেশিত স্থানে হাজির/উপস্থিত হতে বাধ্য থাকবেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles