
মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্সের বিরুদ্ধে বিচ্ছেদের মামলা করেছেন তার স্বামী স্যাম আজগারি। চলতি বছরের শুরু থেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ দম্পতির সম্পর্কের অবনতির খবর প্রকাশিত হয়। তবে বুধবার লস অ্যাঞ্জেলেসের কাউন্টি আদালতে স্যাম মামলা করায় বিচ্ছেদের খবর নজরে আসে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, স্পিয়ার্স যদি স্যামের খরচ না দেন তাহলে তিনি ব্যক্তিগত আপত্তিকর খবর ফাঁস করে দেবেন।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ব্রিটনির সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি স্পষ্ট করেন স্যাম।
তিনি লেখেন, ‘ছয় বছর ধরে একে-অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং দায়িত্ব পালনের পর আমি এবং আমার স্ত্রী আমাদের এ সফরে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
তিনি আরো লেখেন, ‘পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি ওকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ পাশাপাশি স্যাম সংবাদমাধ্যমের কাছে ব্যক্তিগত পরিসরে প্রবেশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
যদিও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, স্পিয়ার্স আর স্যাম একসঙ্গে থাকছেন না এখন। কোথাও একসঙ্গে যাচ্ছেন না। তাদের দুজনের হাতে বিয়ের আংটিও নেই।
বিচ্ছেদের পিটিশনে লেখা হয়েছে, গত ২৮ জুলাই থেকে দম্পতি আলাদা রয়েছেন। ব্রিটনির কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন স্যাম। পিটিশনে তিনি জানিয়েছেন, বিচ্ছেদের মামলার খরচ তার হয়ে স্ত্রীকে বহন করতে হবে। এখনো বিচ্ছেদ নিয়ে ব্রিটনি বা তার মুখপাত্রের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, তাদের সম্পর্ক তিক্ত ছিল অনেক দিন ধরে। বিভিন্ন সময় তাদের প্রকাশ্যে ঝগড়া করতে দেখা গেছে। কখনো সে ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছে যেত যে নিরাপত্তারক্ষীদের তা থামাতে হয়।
সংবাদমাধ্যমের খবর, এ বছরের শুরুর দিকে একটি ঘটনায় আরও বেশি ভেঙে পড়েন স্যাম। স্যাম ঘুমিয়ে ছিলেন সে সময়। কোনো কারণে ব্রিটনির সব আক্রোশ গিয়ে পড়ে ঘুমন্ত স্বামীর ওপর। কিল-চড়-ঘুষি মারতে থাকেন তিনি। সে সময় স্যামের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, তার চোখে কালশিটে দাগ এবং হাতে কামড়ানোর চিহ্ন স্পষ্ট। তখন সংবাদমাধ্যমের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছিলেন স্যাম। এখন অনেকে আন্দাজ করছেন, ছবিগুলো সেই ঘটনার।
স্যামের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, এ ঘটনার পর থেকে বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন স্যাম।
অভিযোগ রয়েছে, এক ভিডিওতে ব্রিটনি এবং তার এক সহকর্মীকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখা গেছে। যা স্যামের চোখে পড়ে। স্যামের বন্ধুদের ভাষ্য ব্রিটনি বহুবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
স্যাম বিট্রনি স্পিয়ার্সের তৃতীয় স্বামী। স্পিয়ার্স প্রথমে বিয়ে করেন তার বাল্যবন্ধুকে। যার মেয়াদ ছিল ৫৫ দিন। এরপর দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০০৪ সালে। যার সমাপ্তি ঘটে ২০০৭ সালে। তখন ব্রিটনি দুই সন্তানের জন্ম দেন। এরপর স্যামের সঙ্গে স্পিয়ার্সের বিয়ে হয় ২০২২ সালের জুনে। বর্তমানে ইরানিয়ান-আমেরিকান স্যামের বয়স ২৯ আর স্পিয়ার্সের বয়স ৪১।