
১৫ই আগষ্ট । আমাদের জাতীয় শোক দিবস । আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী । আমরা শোকাহত। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঘাতকের দল সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। সে দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি কলঙ্ক ময় অধ্যায় ।
পিতা আমরা তোমার অকৃতজ্ঞ সারে সাত কোটি সন্তান ছিলাম যারা তোমাকে ও তোমার পরিবারকে ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারিনি। আমরা তোমার প্রেয়নায় সংগ্রাম করেছি মুক্ত যুদ্ধ করেছি অথচ তোমাকে ধরে রাখতে পারেনি।
তবে এ কথা সত্যি অনেক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমাদের জাতির পিতা
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমার তেমন কিছু লিখা হয়নি কখনো। শুধু মন দিয়ে শুনেছি তাঁর কথা, প্রানভরে পড়েছি, অনুভব করেছি ।
আজ যখন বাড়ী থেকে বের হচ্ছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল আমার বাগানের ফুল, বড় গাছটিতে বসা পাখিটি আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছে । রাস্তা দিয়ে যখন গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছিলাম নীরব রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছ গুলো থেকে হিস হিস করে আমার কানে একটি শব্দ আসছিল, কেন কিছু বলতে চাও না ? বলো একটু কিছু বলো । আমার হৃদয়ে যে পাখিটি ঘুমিয়ে থাকে র্নিবিগ্নে নিশ্চিন্তে সে আজ নড়েচড়ে ডানা ঝাপটা দিয়ে উঠে দাঁড়ালো, বললো আজ তোমাকে কিছু বলতেই হবে। আমার স্বপ্নের মাঝে কে একজন কানে কানে এসে বলে গেলো ভুলে যেও না আজ জাতীয় শোক দিবস ।
আমি বারবার জবাব দেই আর মনে মনে বলি এতরড় একজন মানুষ সম্পর্কে বলার যোগ্যতা যে আমার নেই। যার হৃদয়ের গভীরতা সাগরের মতো গভীর, আকাশের মতো উদার সীমাহীন ভালোবাসা, যার বজ্র কন্ঠে বাংলার সাতকোটি মানুষ এক হয়েছিলো তাঁকে নিয়ে আমি কি বলবো? আমার যে সে যোগ্যতাই নেই। আমি যে বড় ক্ষুদ্র একজন মানুষ। এত বড় একজন মানুষ যিনি আমাদের জাতির পিতা। তাঁকে নিয়ে কিছু লিখতে আমার বুক কাঁপে হাত কাঁপে , মনে হয় ভুল কিছু লিখে ফেললাম নাতো? শুধু এতটকুই বলতে পারি, বাংলাদেশ তুমি ফিরে এসো বঙ্গবন্ধুর কন্ঠে । বঙ্গবন্ধু তোমার বজ্রকন্ঠের মতো শক্তিশালী হোক বাংলাদেশ । তুমি জ্বল জ্বলে আলো হয়ে জ্বলে থাকো আমাদের সকল বাঙালীদের প্রানে। আমরা যেন কবিগুরুর গানের মতো করে বলতে পারি ‘সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে’।
ম্যাল্টন, অন্টারিও