
শরনার্থীরা কাক্সিক্ষত ব্যবহার না পাওয়ায় এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে ডাউনটাউন টরন্টোর রাস্তায় রাত কাটাতে হওয়ায় তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন টরন্টোর মেয়র অলিভিয়া চাউ। সেই সঙ্গে এই সংকট অতিক্রমে ফেডারেল সরকারের কাছ থেকে আরও তহবিল দাবি করেছেন।
রিভাইভালটাইম ট্যাবানেকল চার্চে এক সংবাদ সম্মেলনে চাউ বলেন, আপনার সবকিছু, বন্ধু, পরিজন ছেড়ে আরেকটি দেশে পালিয়ে আসতে দারুণ সাহস ও শক্তি লাগে। আপনারা তারা। তারা এখানে শরনার্থী হিসেবে এসেছেন। আমি তাদের সাহসের প্রতি সম্মান জানাতে চাই। একইভাবে আমি সিটি অব টরন্টো এবং অন্য স্তরের সরকারের পক্ষ থেকে আপনাদের সঙ্গে যে ধরনের ব্যবহার করা হয়েছে সেজন্য ক্ষমা চাইছি।
দুই সপ্তাহ ধরে নর্থ ইয়র্ক চার্চে আ¤্রয় নেওয়া শরনার্থীদের দেখতে যান চাউ। তিনি বলেন, শরনার্থীদের অনেকে আক্ষরিক অর্থেই তাদের সবকিছু হারিয়েছেন। তাদের পরিচয়পত্র হারিয়েছেন, যেটা শরনার্থী স্ট্যাটাসের আবেদনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা আসলেই গ্রহণযোগ্য নয়।
শরনার্থীদের যারা আশ্রয় দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছে ডাফেরিন স্ট্রিট এবং ফিঞ্চ এভিনিউ ওয়েস্টের চার্চটি সেগুলোর একটি। এসব শরনার্থীদের কাছ থেকে জুনে মুখ ফিরিয়ে নেয় শেল্টার সিস্টেম। এর ফলে অনেকেই ডাউনটাইনে শেল্টার ইনটেকের বাইরে রোদ ও বৃষ্টির মধ্যে রাত কাটাতে বাধ্য হন। মেষ পর্যন্ত ফেডারেল সরকার আশ্রয় প্রার্থীদের আবাসনের জন্য টরন্টোকে ৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার দিয়েছে। এই অর্থের জন্য ফেডারেল সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন চাউ। তবে সংকট সমাধানে এই অর্থ যথেষ্ট নয় বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মেয়র অলিভিয়া চাউ অটোয়ার প্রতি আবারও টরন্টোতে আসা আশ্রয়প্রার্থী ও শরনার্থীদের সহায়তায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধঅনের আহ্বান জানিয়েছেন। এসব সমাধানের মধ্যে একটি হলো টরন্টো পিয়ারসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বা বাইরে একটি অভ্যর্থনা কক্ষ চালু করা, যেখানে অবতরণের পর আশ্রয়প্রার্থীরা সহায়তা চাইতে পারেন।
চাউ বলেন, শরনার্থীদের আবাসন খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব চার্চের নয়। এটা অভ্যর্থনা কক্স নয়। এটা চার্চ, যেখানে প্রত্যেকেই প্রার্থনা, বিবাহ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্য আসেন। গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত চার্চের জিমনেসিয়ামও শরনার্থীদের জায়গা দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। অনুষ্ঠানগুলো সব বাতিল করতে হয়েছে।