
এয়ার ফ্রান্সের এক যাত্রীর তোলা অভিযোগের তদন্ত শুরু করার পর তা সম্পন্ন করেছে কানাডার পাবলিক হেলথ এজেন্সি। পূর্ববর্তী এক যাত্রীর রক্তক্ষরণের পর অপরিচ্ছন্ন আসনেই তাকে বসতে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন ওই যাত্রী। তবে সংক্রামক রোগ ছড়াতে পারে এমন কোনো কিছু উড়োজাহাজে পাওয়া যায়নি জানিয়ে তদন্ত শেষ করেছে পাবলিক হেলথ এজেন্সি।
কোনো যানবাহন যাতে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এমন কিছু দেশে বহন করে না নিয়ে আসে সেটা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে জনস্বাস্থ্য সংস্থার। সেই বিবেচনা থেকেই তদন্ত শুরু করে পাবলিক হেলথ এজেন্সি অব কানাডা।
সংস্থাটি বলেছে, এয়ার ফ্রান্স, গ্রেটার টরন্টো এয়ারপোর্ট অথরিটি এবং ইউনাইটেড স্টেটস ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের সহযোগিতায় এই তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, উড়োজাহাজে এমন কোনো ব্যক্তি বা বস্তু ছিল না যে সংক্রামক রোগের বিস্তার ঘটাতে পারে।
যাত্রী হাবিব বাত্তাহ কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, ৩০ জুন প্যারিস থেকে টরন্টোগামী একটি ফ্লাইটে ওঠার পর তিনি উৎকট গন্ধ টের পান এবং তার আসনের সামনের মেঝেতে বড় আকারের দাগ দেখতে পান। এই দাগের বিষয়ে তিনি কেবিন ক্রুদের সতর্ক করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তাকে পরিস্কার করার জন্য কিছু সরঞ্জাম দেওয়া হয়। আসনের নিচের মেঝে পরিস্কার করার পর রক্তের দাগ দেখতে পান।
এয়ার ফ্রান্স এটা নিশ্চিত করেছে যে, আগের ফ্লাইটের একজন যাত্রী অসুস্থ্য ছিলেন এবং এ কারণে তার আসনটি ভিজে যায়। এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী ঘটনাগুলো খুঁজে দেখতে তারা অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে এয়ার ফ্রান্স।