রাজধানীর বসুন্ধরায় বন্ধুর নিয়ে আসা ‘মদপানে’ জান্নাত আক্তার (২২) নামের এক তরুণী মারা গেছেন। এ ঘটনায় তার খালাতো বোন রিমা আক্তার ইমু (২৫) হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তবে তিনি অনেকটা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জান্নাত টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার নাতিয়াপাড়া গ্রামের মো. হান্নান মিয়ার মেয়ে। রিমার বাড়ি একই জেলার দেলদুয়ার উপজেলায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে রিমা আক্তার ইমু বলেন, ‘বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বি- ব্লকের ৮ নম্বর রোডের একটি বাসায় আমি ভাড়া থাকি। আমার পার্লার ছিল। তা বিক্রি করে দিয়েছি। জান্নাত আমার এখানে থাকত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জান্নাতের বন্ধু মিরপুরের বাসিন্দা রাব্বি আমাদের বাসায় মদের বোতল নিয়ে আসেন। তারা দুজন অর্ধেক পরিমাণ খেয়ে ফেলেন।’
‘পরে আমাকে অফার করেন। আমি প্রথমে খেতে চাইনি। তাদের চাপাচাপিতে কয়েক চিপ খাই। পরে আমি অসুস্থ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আমি আর কিছুই বলতে পারি না। পরদিন বেলা ১১-১২টার দিকে উঠে দেখি জান্নাত ঘুমাচ্ছে। আর কখন রাব্বি চলে গেছে তা জানতে পারিনি,’ বলেন ইমু।
তিনি আরও বলেন, ‘অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় আমি জান্নাতকে হাসপাতালে যেতে বলি। কিন্তু জান্নাত যেতে রাজি হয়নি। পরে আমার এক বন্ধুকে ডেকে এনে আমি টঙ্গীর একটি হাসপাতাল যাই। সেখানে আমাকে স্যালাইন দেওয়া হয়। পরে জান্নাতের জন্য স্যালাইন নিয়ে আসি। বাসায় এসে তাকেও স্যালাইন দেওয়া হয়। এভাবে কেটে যায় শুক্রবার।’
আজ ভোর থেকে জান্নাত কথা বলতে পারছে না জানিয়ে রিমা আক্তার ইমু বলেন, ‘তার শরীর খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত তাকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জান্নাতের বন্ধু রাব্বির ব্যাপারে জানতে চাইলে রিমা জানান, সে লাপাত্তা, তাকে আর পাওয়া যায়নি। সে মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে।