বর্তমানে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও স্হিতিশীলতার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো বিশ্বাসহীনতা। কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। রাজনীতিতে যেমন বিএনপি যা বলে আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না, আওয়ামী লীগ যা বলে বিএনপি তা বিশ্বাস করে না। অন্যান্য দলের কোন কথাও কেউ বিশ্বাস করে না। জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের যা বলেন তাও মানুষ বিশ্বাস করছে না। রাশেদ খান মেনন বা হাসানুল হক ইনুসহ যে কোন নেতার বক্তব্যের রিয়েকশন বাটন চাপ দিলে দেখা যায় ৫০০ লোক লাইক দিলে ৪৫০ জনেরই হা হা রিয়াকসন।
এবার আসুন দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকাই। নির্বাচন কমিশন, দুদক, কর বিভাগ, প্রশাসন, এমনকি বিচার বিভাগেরও একই অবস্হা। যে কোন রায় বা ঘোষণা কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এলে সেটা মানুষ কতটুকু বিশ্বাস করে বা আস্হায় নিতে পারেন তা নিয়ে সকলেরই চিন্তিত হবার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। দু একটি প্রতিষ্ঠান আছে যাদের কোন কিছুই মানুষ বিশ্বাস করে না।
আগের দিনে একজন শিক্ষক বা মসজিদের ইমাম কথা বললে সবাই সেটা বিশ্বাস করতো, আজকাল তাও আর করে না। একজন দোকানদার যতই তার দোকানের পণ্যকে ভাল বলুক, ক্রেতার মনে একটা একটা সন্দেহ থেকেই যায়।
একজন সাংবাদিক, লেখক কবি সাহিত্যিক কারো না কারো কাছে যেন দাসত্বের শিকলে বন্দী। যতবড় ডক্টরেট ডিগ্রীধারী কলাম লেখেন না কেন, সেগুলো খুব কম লোক বিশ্বাস করে!
এমনকি স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যেও বিশ্বাসহীনতার বিষবাস্প। দিন শেষে সন্তান বাসায় ফিরে যা বলে পিতামাতা তা বিশ্বাস করতে পারেন না।
কিন্তু কেন এই অবস্হা?
বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরী না হলে গনতন্ত্র, নির্বাচন, সংসার সমাজ সবকিছুই অর্থহীন হয়ে যাবে, অস্হিরতা তৈরী হবে এবং দেশটা ক্রমেই সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাবে। মানুষের মধ্যে রোগ বালাই বাড়বে। এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
আপনারা কী মনে করেন?
স্কারবোরো, কানাডা