
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় বিয়ের ৬ বছর পর পরকীয়ার অভিযোগে স্বামী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন শাহানাজ পারভীন। শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শৈলকুপা থানার মামলা নং ৬,তারিখঃ-০৩/১১/২০২১ ইং। ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১১(গ) ধারা মোতাবেক।
উপজেলার রাজাকার মৃত গোলাম মজনুর ছেলে এবং মাগুরা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ)সড়ক অফিসের এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী দুই সন্তাানের জনক আহসানুল কবির টিটু’র বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের পরকীয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে শৈলকুপা থানায় একটি মামলা হয়েছে।
পরকীয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শৈলকুপার কোটপাড়াসহ ঝিনাইদহ শহরে। শৈলকুপার বিভিন্ন মহল, এলাকায় ও চায়ের দোকানে দোকানে এখন গল্পের খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে টিটু’র পরকীয়ার গল্প ।
জানা গেছে, আহসানুল কবির টিটুর সঙ্গে শারীরিকভাবে মেলামেশা পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শেফালী খাতুন। শৈলকুপা উপজেলার ১১নং আবাইপুর ইউনিয়নের পাঁচপাখিয়া গ্রামের মৃত মোঃ হাফিজুর রহমান এর কন্যা মোছাঃ শাহানাজ পারভীন (৩০) এর সঙ্গে শৈলকুপার কোটপাড়া এলাকার রাজাকার মৃত গোলাম মজনুর ছেলে আহসানুল কবির টিটু’র সঙ্গে গত ইং ১৬ই ডিসেম্বর ২০১২ সালে মুসলিম পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। তাদের ঘরে দুইটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিগত ২০১৮ সাল থেকে স্ত্রীর অজান্তে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা জেলার কুলচারা গ্রামের শেফালী খাতুনের (২৫) সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক স্থাপন করে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন আসামি আহসানুল কবির টিটু।
পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ার পর আহসানুল কবির টিটু তার স্ত্রী শাহানাজ পারভীনের নিকট দশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং তার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু করে। স্ত্রী শাহানাজ এক পর্যায়ে তার ভাইদের নিকট থেকে নগদ ছয় লাখ টাকা এনে তার স্বামীকে দেন। আসামি আহসানুল কবির টিটু সে টাকা নেওয়ার পরে কিছুদিন ভালো থাকার পর ফের পরকীয়া প্রেমিকার প্ররোচণায় আবারও স্ত্রীর নিকট বাকী চার লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শাহানাজ পারভীনের উপর অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।
শাহানাজ পারভীন সন্তান দুটির মুখে দিকে তাকিয়ে এবং স্বামীর সংসার করায় আশাই স্বামীর সকল প্রকার আত্যাচার ও নির্যাতন নীরবে সহ্য করে আসছি।
আরারও চার লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করে স্ত্রীর ভাইদের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলে। স্ত্রী শাহানাজ যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্বামী আবারও স্ত্রীকে মারধর করে। কোন চিকিৎসা না দিয়ে তার স্বামী তাকে তার ঘরের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখে। স্ত্রী শাহানাজ কৌশলে তার ভাইদের বাড়িতে জানান।
আহসানুল কবির টিটুর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে লোকজনের সহায়তায় তাদেরও বোনকে ঊদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
শাহানাজ পারভীন বলেন, আসামি আহসানুল কবির টিটু ও শেফালী খাতুন আমার সুখের সংসার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার সন্তান দুইটি নিয়ে আজ আমি বড় অসহায়। আমি ওই লম্পটের বিচার চাই।