
এবার পারমাণবিক অস্ত্রের সমৃদ্ধকরণ নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের দাবি, ধারণার চেয়েও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অনেক দ্রুত নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনকে মনগড়া ও পক্ষপাতমূলক আখ্যা দিয়েছে চীন।
বাণিজ্যযুদ্ধের পর সম্ভাব্য সম্মুখ যুদ্ধ মোকাবিলায় প্রতিনিয়ত নিজেদের শক্তিশালী করছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া। তবে বুধবার নতুন এক দাবি করলো যুক্তরাষ্ট্র।
পেন্টাগনে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এতদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও অবিশ্বাস্য গতিতে নিজেদের পারমানবিক অস্ত্রভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্লা দিতে অস্ত্রের সংখ্যার দিক থেকে ব্যবধান কমিয়ে আনছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গত বছর চীনের অস্ত্রভান্ডারে ব্যবহারযোগ্য পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা ২০০ থাকলেও ২০২৭ সালের মধ্যে চীনের এই অস্ত্রের সংখ্যা ৭০০শর ঘর ছাড়াতে পারে।
২০৩০ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১ হাজারে। পারমাণবিক অস্ত্রের পাশাপাশি ভূমি, সমুদ্র ও আকাশ থেকে এই অস্ত্র ছোঁড়ার অবকাঠামো উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করার জন্যও বিনিয়োগ বাড়িয়েছে চীন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিবেদনকে মনগড়া ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চীনের পরমাণু অস্ত্রের হুমকির দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করছে বলেও জানায় বেইজিং।
ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যে কোনো পরিস্থিতিতে চীন শুরুতেই কখনো পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না। এমনকি পরমাণুমুক্ত কোনো দেশ বা অঞ্চলেও এই অস্ত্র ব্যবহার না করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
যতক্ষণ না পর্যন্ত চীনের ওপর হামলা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকেও চীন আক্রমণ করবে না।যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের প্রতিযোগিতায় দেশগুলোকে টেক্কা দিতে মাঠে এখন শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে চীন।
এর আগে গেল মাসে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। যদিও এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে বেইজিং।