
ফোর্ড সরকারের গ্রিনবেল্ট ব্যবস্থাপনার তদন্ত করছে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি)। প্রভিন্সিয়াল পুলিশ তাদেরকে আহ্বান জানানোর পর তদন্তে নেমেছে তারা।
অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পুলিশ (ওপিপি) এক বিবৃতিতে বলেছে, কোনো ধরনের স্বার্থের সংঘাত এড়াতে ওপিপি ফাইলটি আরসিএমপির কাছে পাঠিয়েছে।
এর কিছুক্ষণ পরই বাহিনীটির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, টরন্টোকে ঘিরে গ্রিনবেল্টের জমি অবমুক্তকরণে অনিয়ম তদন্তের আহ্বান আরসিএমপি গ্রহণ করেছে। সংগৃীত তথ্য আমরা পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করে দেখবো। প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। তদন্ত এখনো খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
প্রাপ্ত সব তথ্য তারা পর্যালোচনা করে দেখছেন। তবে আনুষ্ঠানিক তদন্ত এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো তদন্ত শুরু করা হবে কিনা সে ব্যাপারে।
সরকারের গ্রিনবেল্ট ব্যবস্থাপনা নিয়ে অন্টারিওর অডিটর জেনারেল বনি লিসিক এ মাসের গোড়ার দিকে সমালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিছু ডেভেলপার বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন এবং ভূমি অবমুক্তকরণের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তে তাদের প্রত্যক্ষ প্রভাব রয়েছে।
লিসিক তার প্রতিবেদনে ১৫টি সুপারিশ করেছেন। এর মধ্যে যে সুপারিশটি সরকার বাস্তবায়ন করবে না তা হলো আবাসনের জন্য গ্রিনবেল্ট উন্মুক্ত করে দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সুপারিশ।
আরসিএমপির তদন্ত এবং গ্রিনবেল্ট উন্নয়নে ফোর্ড সরকারের যৌক্তিকতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তদন্তের বিষয়ে পুলিশ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি।
তবে তিনি বলেন, কানাডাজুড়ে বাড়ি নির্মাণ করাটা জরুরি এবং এজন্য মিউনিসিপালিটিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। সংরক্ষিত ভূমিতে আবাসন সমস্যার একমাত্র সমাধান নয় বলে আমি মনে করি। এ নিয়ে আমাদের অনেক কিছু করার আছে এবং সেগুলো করা উচিত। এ নিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
This article was written by Sohely Ahmed Sweety as part of the LJI.