
কুইবেকের শ্রেণিকক্ষে সেলফোনের ব্যাপারে এটা শেষ ঘণ্টা। কারণ, প্রদেশের শিক্ষামন্ত্রী একে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্টের জন্য দায়ী করে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিভাইসটি নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছেন।
কুইবেকের শিক্ষামন্ত্রী বার্নার্ড ড্রেইনভিল বলেন, প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সামনে বিষয়টি উত্থাপনের ইচ্ছা রয়েছে তার। এরপর যত দ্রুত সম্ভব স্কুলগুলোতে নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এরপর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব বর্তাবে স্কুলগুলোর ওপর।
এই নির্দেশনা কেবলমাত্র সরকারি এলিমেন্টারি ও হাই স্কুলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে শিক্ষকরা শিক্ষা কাজে শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ে ফান ব্যবহার করতে পারবেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণদের জীবনের বড় অংম দখল করে নিচ্ছে সেলফোন। আমরা যেটা চাই তা হলো আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন শ্রেণিকক্ষে শতভাগ মনোযোগী থাকে।
ফেডারেশন ডেস সিন্ডিকেটস ডি লা’এনসেইনমেন্টে গত বসন্তে সাত হাজার শিক্ষকের ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। তাতে দেখা যায়, ৯২ শতাংশ উত্তরদাতা শ্রেণিকক্ষে সেলফোন নিষিদ্ধের পক্ষে। ড্রেইনভিলও এই প্রস্তাবই রেখেছেন।
ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট জোসি স্কালাব্রিনি বলেন, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে যাতে শিক্ষার্থীরা মনোযোগ না হারায় সেটা চান। পাশাপাশি তাদের অজ্ঞাতেই ভিডিও করা নিয়েও তারা উদ্বিগ্ন।
অন্টারিও ২০১৯ সাল থেকে শ্রেণিকক্ষে সেলফোনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। যদিও শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে শিক্ষার কাজে সেলফোন ব্যবহার করতে পারে তারা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও মেডিকেল উদ্দেশে এবং বিশেষ শিক্ষার সহায়ক হিসেবেও শিক্ষার্থীরা সেলফোন ব্যবহার করতে পারে। ২০১৯ সালে স্কুল বোর্ডগুলোর কাছে পাঠানো নএক চিঠিতে এমনটাই বলা হয়েছে।
তবে এই নিয়মের প্রভাব খুব সামান্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রদেশের ইংরেজি ভাষী সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন অন্টারিও সেকেন্ডারি স্কুল টিচার্স’ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট কারেন লিটলউড।