5.2 C
Toronto
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

‘প্রিন্সিপাল পাহারা দেন, ধর্ষণ করেন স্কুল পরিচালকের ছেলে’

‘প্রিন্সিপাল পাহারা দেন, ধর্ষণ করেন স্কুল পরিচালকের ছেলে’ - the Bengali Times

প্রতীকী ছবি

ধর্ষণের শিকার এক নাবালিকা তার পাশবিক অভিজ্ঞতার কথা ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে তুলে ধরেছে। ২০১৭ সালে তার সঙ্গে যখন এ ঘটনা ঘটে সে তখন ষষ্ঠ শ্রেণিরে শিক্ষার্থী।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন আগে থেকেই কিছুটা ভয় পেয়েছিল নাবালিকা। সেইদিন স্কুলের প্রিন্সিপাল ওই নাবালিকাকে ডাকেন তার কক্ষে। তার স্কুলের ফি বকেয়া ছিল। এরপর ওই শিক্ষার্থী কক্ষে যেতেই স্কুলের প্রিন্সিপাল তাকে লাইব্রেরির দিকে যেতে বলেন।

- Advertisement -

অভিযোগ, লাইব্রেরিতে সে প্রবেশ করতেই বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করা হয়। লাইব্রেরির ভেতরে অপেক্ষা করছিলেন স্কুল ডিরেক্টরের ছেলে। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বয়স ১৭ বছর। সেই দিনের ভয়াবহ ঘটনার কথা মনে করতে গিয়ে নাবালিকা বলে, ‘আমি চিৎকার করে উঠেছিলাম…।’

ভারতের বিহারের সাহারসার স্কুলের অন্ধকার লাইব্রেরি কার্যত ওই নাবালিকার পুরো জীবন পাল্টে দিয়েছে। আতঙ্ক, যন্ত্রণা, ভয়ের এক ঘৃণ্য অভিজ্ঞতা তাকে আজও কুড়েকুড়ে খাচ্ছে।ঘটনার বর্ণনায় নাবালিকা জানায়, স্কুল ডিরেক্টরের ছেলে লাইব্রেরিতে অপেক্ষা করছিল। ‘সে আমার কাছে এসে চুলের মুঠি ধরে, আমায় অত্যাচার করে, আমার ধর্ষণ করে, আর পুরো ঘটনা ভিডিও করে।’

নাবালিকা আরও বলে, আমি লাইব্রেরি থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকি কিন্তু লাইব্রেরির বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছিলেন প্রিন্সিপাল। নাবালিকা জানায়, প্রিন্সিপাল আমায় ধরে ফেলেন, থাপ্পড় মারেন। তারপর আমার চুল, পোশাক ঠিক করে দিতে থাকেন। উনি বলেন, ক্লাসে যেতে এবং এ ঘটনা যেন কাউকে না জানাই।

এরপর ২০১৮ সালে গার্লস স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য মা বাবাকে রাজি করায় ভুক্তভোগী। ততদিনে মেয়ের মধ্যে নানা পরিবর্তন দেখতে থাকেন মা। নিজের ঘরের মধ্যে থাকা, কারোর সঙ্গে না মেশা- মেয়ের মধ্যে এমন পরিবর্তন দেখে অবাক হন তার মা।

এরপর ২০২২ সালে তারা সাহারসা থেকে পাটনা আসে। যে স্কুল আগেই ভয় দেখিয়েছিল তাকে যে, এ ঘটনা কাউকে বললে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। ফলে পুরো ভয়াবহ নির্যাতন সে নিজের মনের মধ্যে রেখে রেখে ভয় পেত। এরপর তার শুরু হয় প্যানিক অ্যাটাক। সে বিড়বিড় করে বলতে থাকে, ‘প্লিজ আমার চুল টেনো না, আমাকে ছুঁয়ো না।’

এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। নাবালিকার ভাই দায়ের করে মামলা। এ ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে নাবালিকার পরিবার বলছে, আজও সে নিজের ওপর অত্যাচার করে। নিজেকে আঘাত করতে থাকে।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles