
ইউক্রেনে কানাডার নতুন রাষ্ট্রদূত নাতাল্কা সিমক গত মাসে যখন কিয়েভে পৌঁছান তখন আগের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে যায় তার। অঙ্গ হারানো এত মানুষকে তিনি দেখেন যে, ১৯৯০ এর দশকে ইউক্রেনে কাজ করার কথা মনে পড়ে। ওই সময় আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধ শেষে হাজার হাজার সৈন্য সদ্য স্বাধীন দেশটিতে ফিরছিলেন।
কিয়েভে কানাডার দূতাবাস থেকে শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে সিমক বলেন, ইউক্রেনের অবস্থান আমার হৃদয়ের খুব কাছাকাছি। আমি চাই এই যুদ্ধে ইউক্রেন জয়ী হোক।
এক বছরের জন্য রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে ১৫ আগস্ট তিনি কিয়েভে পৌঁছান। ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর একাধিকবার তিনি দেশটিতে থেকেছেন। মাত্র দুই সপ্তাহে তিনি বিমান হামলার সাইরেনের সঙ্গে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, গত কয়েকটা রাতক তার কাছে মনে হয়েছিল এই বোধহয় ভোর ৪টা কি ৫টা বাজে।
তার দায়িত্ব মূলত ইউক্রেনের আশু প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার যে চাহিদা তাতে সহায়তার দিকে মনোযোগী হওয়া। সেই সঙ্গে রাশিয়ার সব ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। কিয়েভে জি৭ভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকের মধ্য দিয়ে সেটা করতে হবে।
তার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হচ্ছে ইউক্রেন যাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ন্যাটো সামরিক জোটে যোগ দিতে পারে সেই সুযোগ করে দেওয়া। সংস্কার ও পুনর্গঠনের পাশাপাশি মানবিক সহায়তার মাধ্যমে এটা হতে পারে।
সিমক বলেন, তার কাজ হচ্ছে এই বিভিন্ন ফ্রন্টে এই কাজগুলো সমন্বয় করা এবং অটোয়া ও কিয়েভের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করা।