
টরন্টোর এক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং তার ১২ কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্লাস অ্যাকশন মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা এইচভিএসি রেন্টাল কাস্টমারদের মালিকানার টাইটেল কুক্ষিগত করে রাখেন অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে। ভোক্তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া এক আইনজীবী এমনটাই জানিয়েছেন।
টরন্টোর বাসিন্দা গোরেন ডোনেভ এবং আলগা বনিকের পক্ষ থেকে মামলাটি করা হয়েছে। এতে অভিযোগ করা হয়েছে, সিইও লরেন্স ক্রিমকা পরিচালিত ক্রাউন ক্রেস্ট ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট কর্পোরেশন ও আরও অন্তত ১১টি কোম্পানি হোম টাইটেলের বিপরীতে সিকিউরিটি ইন্টারেস্ট বাবদ গ্রাহকদের কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ কেটে রাখার কথা তাদেরকে না জানানোর মধ্য দিয়ে অন্টারিওর কনজ্যুমার প্রোটেকশন আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। তাছাড়া কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কন্ট্রাক্টগুলো বিক্রি করেছেন, যা ২০১৮ সাল থেকে অন্টারিওতে নিষিদ্ধ।
সিকিউরিটি ইন্টারেস্ট আর্থিক জামানত হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহৃত হয়েছে কোম্পানির হিটিং, ভেন্টিলেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং (এইচবিএসি) ইউনিটের মূল্য বাবদ। হোম ইকুইপমেন্ট রেন্টাল শিল্পে এটা সাধারণ চর্চা হিসেবে দেখা যায়। তবে ইন্টারেস্টের পরিমাণ হয়ে থাকে ইকুইপমেন্টের আনুমানিক মূল্যের সমান। এই ক্ষেত্রে ডোনেভ এবং বনিকের বিপরীতে কেটে নেওয়া অর্থের পরিমাণ ২০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
টরন্টোর ল ফার্ম সটস ক্লাস অ্যাকশনের মহসেন সেডিগের তথ্য অনুযায়ী, হোম ইকুইপমেন্ট শিল্পে এ ধরনের চর্চা ব্যাপক মাত্রায় চালু আছে।
গত জুন মাসে এক লিখিত বিবৃতিতে ক্রাউন ক্রেস্ট সিটিভি নিউজকে বলেছিল, বিভিন্ন কর্পোরেশন ও জ্যেষ্ঠ নির্বাহীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগের ব্যাপারে তারা অবগত রয়েছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে তোলা কোনো অভিযোগ সত্য নয়। এই অভিযোগ খারিজ হয়ে যাবে বলে আমরা মনে করি। ভোক্তা সুরক্ষা আইন আমরা পুরোপুরি পরিপালন করে থাকি। এ ব্যাপারে আমরা শতভাগ স্বচ্ছতা রক্ষা করে চলি, যাতে করে আমাদের গ্রাহকরা সন্তুষ্ট থাকেন এবং ঠিকমতো সেবা পান।