
আসনে বমির লাগ থাকার প্রতিবাদ করায় দুই যাত্রীকে পুলিশ ঘিরে রাখার ঘটনায় তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে এয়ার কানাডা। এয়ারলাইনটি বলেছে, যাত্রীরা স্পষ্টভাবেই তাদের প্রাপ্য সেবা পাননি।
২৬ আগস্ট লাস ভেগাস থেকে মন্ট্রিয়লগামী একটি ফ্লাইটে উঠার সময়কার ওই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন আরেক যাত্রী। নিউ ব্রান্সউইকের বাসিন্দা সুজান বেনসন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, তিনি এক নারী ও এক পুরুষের পেছনের আসনে ছিলেন।
এ ঘটনার তিনদিন পর বেনসন এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, কিছু একটা বাজে গন্ধ নাকে আসছিল। তবে সমস্যাট কী প্রথমে তা বুঝতে পারিনি। যাত্রীরা উড়োজাহাজে ওঠার আগে দ্রুত তা পরিস্কার করতে চেয়েছিল। কিন্তু পুরোপুরি পরিস্কার করতে পারেনি তারা। যাত্রীরা যাতে গন্ধ না পান সেজন্য ওই স্থানে সুগন্ধি স্প্রে করা হয়। ওই আসনের যাত্রীরা অ্যাটেনডেন্টকে ডেকে বলেন, আসন ও সিটবেল্ট ভেজা এবং এখনো তারা বমি দেখতে পাচ্ছেন। অ্যাটেনডেন্ট ও একজন সুপারভাইজার তাদেরকে বলেন, ফ্লাইট যাত্রীতে পরিপূর্ণ এবং তাদেরকে নির্ধারিত আসনেই বসতে হবে।
নারী যাত্রীটি কম্বল ব্যবহার এবং ওই স্থানটি মোছার চেষ্টা করেন। এই সময় একজন পাইলট ভিয়েনাগামী ওই নারীকে বলেন, তারা নেমে যেতে পারেন এবং নতুন ফ্লাইট বুক করতে পারেন। তা না হলে পুযলিশ দিয়ে তাদেরকে নামিয়ে দেওয়া হবে এবং নো ফ্লাই লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পাইলট ওই সময় ওই নারীর বিরুদ্ধে অ্যাটেনডেন্টের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার অভিযোগ আনেন। কিন্তু এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বেনসন বলেন, তারা হতাশ ও দৃঢ় ছিলেন। কিন্তু রুঢ় ছিলেন না।
এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা ওই দুই যাত্রীকে পাহারা সহকারে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে আনেন।
বেনসনের এই বয়ানের সঙ্গে কোনো ভিন্নমত আছেন কিনা জানতে চাইলে এয়ার কানাডার পক্ষ সাড়া পাওয়া যায়নি। এক বিবৃতিতে এয়ার কানাডা জানায়, বিষয়টি মঙ্গলবারও তারা পর্যালোচনা করে দেখছিল এবং ওই যাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মানসম্পন্ন সেবা না পাওয়ায় তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।