
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের প্রথম ম্যাচ পরই আচমকা অবসরে গিয়েছিলেন তামিম। যদিও পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে অবসর থেকে ফিরে আসেন। তবে পিঠের ব্যথার কারণে সিরিজের বাকি ২ ম্যাচ খেলেননি। পরে ইংল্যান্ডে গিয়ে ইনজেকশন দেন, যাতে খেলতে পারেন। যদিও এশিয়া কাপে খেলেননি, ছেড়ে দিয়েছিলেন অধিনায়কত্বও।
বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ফেরেন খেলায়। সিরিজে প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে ব্যাট করতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে পিঠে অস্বস্তি অনুভব করেন। সেটি জানিয়েছিলেন নির্বাচকদের। এছাড়া দল ঘোষণা করার সময় এই বিষয়টি তাদের মাথায়ও রাখতে বলেছিলেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। সেই দলে রাখা হয়নি তামিমকে। তবে আজকে দেওয়া এক ভিডিওবার্তায় তামিম জানিয়েছেন, তিনি ইনজুরিতে পড়েননি যে ম্যাচ খেলতে পারবেন না। পিঠের অস্বস্তি থাকলেও তিনি যে বিশ্রাম পাবেন তাতে ম্যাচ খেলার জন্য ফিটও হয়ে উঠবেন।
দল ঘোষণার আগে নাকি তামিমকে বিসিবির টপ লেভেলের একজন ফোন দিয়েছিলেন। যদিও তার নাম সরাসরি উল্লেখ করেননি তামিম। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে তিনি যে ভালোভাবেই জড়িত সেকথা জানিয়েছেন তামিম। তিনি যেই প্রস্তাব দিয়েছেন সেটিও পছন্দ হয়নি বাংলাদেশ ওপেনারের।
কী আলাপ হয়েছিল সেই ‘টপ লেভেলের’ কর্মকর্তার সঙ্গে সেটিও ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেছেন তামিম, ‘আমাকে বোর্ডের (বিসিবি) টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করলেন। সে বেশ ইনভলভড আমাদের ক্রিকেটের সাথে। আমাকে হঠাৎ ফোন করে বললেন, তুমি তো ওয়ার্ল্ড কাপে যাবা, তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলতে হবে। তুমি এক কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না, আফগানিস্তানের সঙ্গে। আমি বললাম, ভাই, এটা এখনো ১২-১৩ দিনের কথা। আমি তো এর মধ্যে ভালো কন্ডিশনে থাকব। কী কারণে খেলব না? তখন বলল, আচ্ছা, তুমি যদি খেলোও, আমরা এমন একটা প্ল্যান করতেছি, তুমি যদি খেলোও তাহলে নিচে ব্যাট করাব।’
বিষয়টি মানতে পারেননি তামিম। তার পরের ঘটনা বর্ণনা করে এই ওপেনার বলেন, ‘ন্যাচারালি ভাই একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসতেছিলাম। হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেলেছি। আমি হ্যাপি ছিলাম। হঠাৎ করে এসব ধরনের কথা আমার পক্ষে নেওয়া সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাটিং করেছি। জীবনে কোনো দিন তিন-চারে ব্যাটিংই করিনি। এরকম যদি হইতো আমি তিনে ব্যাটিং করি, চারে ব্যাটিং করি, তাহলে যদি ওপর–নিচ করা হয়, সেটা মানিয়ে নেওয়া যেত।
কিন্তু আমার তিনে–চারে–পাঁচে ব্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা নেই। আমি কথাটা ভালোভাবে নিইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, কথাগুলো পছন্দ হয়নি। মনে হচ্ছিল আমাকে জোর করে অনেক জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে ইচ্ছা করে। এটা ঠিক হইল, এখন আরেকটা জিনিস নতুন করে বলি। দিস ইজ হোয়াট আই ফেল্ট। দিস ইজ হোয়াট আই ফেল্ট। তখন আমি বললাম, দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন, যদি আপনাদের এমন চিন্তাধারা থাকে, তাহলে আপনারা আমাকে পাঠায়েন না। আমি এই নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না।’