মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিকারাগুয়ার স্থানীয় প্রশাসনের আরও ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
মানবাধিকার সংকুচিত ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করায় এর আগে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট দানিয়েল ওর্তেগার সরকারের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ওর্তেগার স্ত্রী ভাইস প্রেসিডেন্ট রোসারিও মুরিয়ো ও তাদের তিন সন্তান এবং প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, নিকারাগুয়ার স্থানীয় প্রশাসনের ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে আরও বলা হয়, এ নিয়ে গতকাল পর্যন্ত নিকারাগুয়ার এক হাজারের বেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ হিসেবে ব্লিঙ্কেন বলেন, দেশটির সবচেয়ে নামী দুটি উচ্চশিক্ষা কেন্দ্র-সেন্ট্রাল আমেরিকান ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। গত আগস্ট থেকে প্রেসিডেন্ট ওর্তেগা ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রোসারিও বেআইনিভাবে এবং ভিত্তিহীন অভিযোগে প্রতিষ্ঠান দুটি বন্ধ করে দেন এবং এগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ওর্তেগা ও মুরিয়ো স্বাধীন একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছেন। নিকারাগুয়ার মানুষের মাতৃভূমিতে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার আশা ও স্বপ্নকে ব্যাহত করেছেন।
এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন ওর্তেগা। যদিও ‘কারচুপির’ ওই নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে প্রচুর সমালোচনা রয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর ওর্তেগা বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাকে কারাগারে পুরেছেন।
এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিকারাগুয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। এমনকি বিরোধী নেতা ও আইনপ্রণেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেওয়া বিচারকদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।