
জি২০ সম্মেলনে আইনের শাসনের এজেন্ডা তুলে ধরেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তবে এটা বিদেশি হস্তক্ষেপের চেষ্টা নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে নাকি রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কড়া সমালোচনা সেটা নিশ্চিত নয়।
নয়া দিল্লিতে দুই দিনের সম্মেলনে জাস্টিন ট্রুডো খোলাখুলি অবৈধ ইউক্রেন হামলার জন্য মস্কোর সমালোচনা করেছেন। তবে বিশে^র সবচেয়ে ক্ষতাধর নেতাদের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে এটা স্থান পায়নি। বরং পুতিনের যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক প্রভাব যেমন খাদ্য ও জ্বালানি অনিরাপত্তার বিষয়টি বেশি করে উঠে এসেছে। হাজার হাজার প্রাণহানী নয়।
জি২০ এর যেসব নেতা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় আছেন ট্রুডো তাদের অন্যতম। তিনি বলেন, এটা যদি তার বিষয় হয়ে থাকে তাহলে ভাষা আরও কঠোর হওয়া উচিত।
জি২০ রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে শস্য, খাদ্য ও সার পরিবহন আবার শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তি হিসেবে তারা বলেছে, আফ্রিকা ও উন্নয়নশীল বিশে^র অন্যান্য অংশের মানুষের খাবারের নিশ্চয়তা দিতে এটা অপরিহার্য। লিঙ্গ সমতা, সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ, অর্থ পাচার এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি ও সবুজ অবকাঠামো নির্মাণের ওপর জোর দেন জি২০ নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর ছয়দিনের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সফরের শেষ পর্ব ছিল জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ। এই সফরে তিনি কানাডিয়ান ব্যবসা ও পণ্যকে তুলে ধরেন। একই সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশন্সের কৌশলগত অংশীদারও হন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি বছরের জি২০ সম্মেলনে গ্লোবাল সাউথের ওপর জোর দেন। এখানে আফ্রিকান ইউনিয়ন স্থায়ী সদস্য হয়েছে। ইউনিয়নের চেয়ারপারসন আজালি আসুমনির সঙ্গে রোববার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাস্টিন ট্রুডো। সাক্ষাৎকালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মরক্কোর পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।
ট্রুডো বলেন, গ্লোবাল সাউথকে সহায়তার ব্যাপারে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় ১৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দেন তিনি।
সাব-সাহারান আফ্রিকা, বলিভিয়ার কৃষির মূল্য বৃদ্ধি এবং নাইজেরিয়ায় নারীদের নেতৃত্বে বর্ধিষ্ণু কৃষিভিত্তিক ব্যবসায় সরাসরি যাবে অনুদানের এই অর্থ। কঙ্গোর খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং
বুরকিনা ফাসোর পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।