
বোন রহিমা আক্তার সুমির (১৯) মোবাইল বন্ধ দুদিন ধরে। সর্বশেষ যোগাযোগ হয় ৩ অক্টোবর। এর পর থেকেই সুমিকে ফোনে পায়নি তার পরিবারের সদস্যরা। খোঁজ না পেয়ে বাড়ি থেকে বোনের ভাড়া বাসায় ছুটে আসেন আরাফাত। এসে দেখেন বোনের ঘরে তালা ঝোলানো। ভেতর থেকে আসছে গন্ধ।
আরাফাত বিষয়টি জানান বাড়ির মালিককে। তার মাধ্যমে খবর পায় পুলিশ।
থানা থেকে পুলিশ এসে ঘরে ঢোকে। গন্ধ ছাড়া মেলে না কিছুই। এরপর ঘরের টয়লেটে মেলে সুমির অর্ধগলিত দেহ।
এমন ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সুমির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সুমি চাটখিল উপজেলার উত্তর রামনারায়ণপুর এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের মেয়ে এবং কুমিল্লার মুরাদনগরের বাসিন্দা মো. ইউছুফ মোয়াজ্জিনের স্ত্রী। বিয়ের পর সোনাইমুড়ী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন সুমি ও ইউছুফ। এ ঘটনার পর থেকে ইউছুফ পলাতক।
আরাফাত জানান, পাঁচ মাস আগে তার বোনের বিয়ে হয়।
৩ অক্টোবর সর্বশেষ সুমির সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাদের। তার ধারণা, ওই দিনই কোনো এক সময় সুমিকে হত্যা করে পালিয়েছেন তার স্বামী ইউছুফ।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।