কবিকে দেখেছি বহুবার দূর থেকে
কাছে যাওয়া হয়নি কখনো
দেখতাম তিনি পান খাচ্ছেন
কথা বলছেন চারপাশে ঘিরে থাকা
লোকজন, ভক্তকুলের সাথে
একজন অভিভাবকের মতো , পিতার মত
অথবা বক্তব্য রাখছেন মঞ্চে
আবৃত্তি করছেন কবিতা তাঁর ভরাট কন্ঠে।
কাছে যাওয়া হয়নি আমার
তাই কথাও বলা হয়নি।
অবশেষে বিদেশ বিভূঁইয়ের কোন এক বই মেলায়
কবির সামনে গেলাম
কাঁপা হাতে তুলে দিতে নিজের বইটি
কবি আমার দিকে তাকিয়ে তবক দেয়া পান খেতে খেতে জিগ্যেস করলেন
তোমার লেখা?
উত্তরের অপেক্ষা না করেই
কবি খুললেন প্রথম পাতা
চোখ বুলালেন কবিতায় পরম মমতায়
বলে উঠলেন , বাহ্!
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একজনকে বললেন আমার সাথে একটা ছবি তুলে দিতে।
কথা বললেন পিতৃস্নেহে।
এটাই আমার প্রিয় কবির সাথে
প্রথম কথা বলা শেষ দেখা।
ভাবতেই বিষন্নতায় ছেয়ে যায় মন।
তিনি আর নেই , নেই কোথাও
কবিকে আর দেখা যাবে না
খাদি পান্জাবীতে গামছা গলায় কোন মঞ্চে
অথবা দর্শক সারিতে মনোযোগী শ্রোতা হিসাবে।
কবি থাকবেন আমাদের প্রতিটি ফাগুনে
কোকিলের কুহু তানে , আমাদের বর্ণমালায়
তাঁর কবিতায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে
বারবারা বিডলারকে লেখা শব্দমালায়
সত্যভাষনে মানুষ হয়ে
আমাদের আলোকবর্তিকা হয়ে।।