
ব্যাংক অব কানাডা বুধবার তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সংশোধন করেছে। ব্যাংকটির সংশোধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, তৃতীয় প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। আগে যা ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া ২০২১ সালের সার্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও ৬ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এদিকে, তৃতীয় প্রান্তিকে কানাডার অর্থনীতি ১ দশমিক ৯ শতাংশ প্রসারিত হতে পারে বলে ধারণা করছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা। গত শুক্রবার এ পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। তবে বাড়তি উপাত্ত হাতে পাওয়ার পর পূর্বাভাস বদলেও যেতে পারে। আগামী মাসেই তা চূড়ান্ত করা হবে।
এপ্রিল ও জুনে কানাডার অর্থনীতি ১ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হওয়ার পর এ প্রবৃদ্ধিকে কেউ কেউ স্বাগত জানাতেই পারেন। তবে পুনরুদ্ধারের যে আকার তাকে হতাশাজনক বলে মনে করছেন বিএমওর প্রধান অর্থনীতিবিদ ডগলাস পোর্টার।
তিনি বলেন, মোদ্দা কথা হলো দ্বিতীয় প্রান্তিকে সংকুচিত হওয়ার পর তৃতীয় প্রান্তিকে বার্ষিক ২ শতাংশ হারে বেড়েছে অর্থনীতি। ঘুরে দাঁড়াতে অর্থনীতিকে কতটা লড়াই করতে হচ্ছে এটা তারই নিদর্শন। বছরের শুরুটা আমাদের খুবই ভালো হয়েছিল। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কি সেই গতি ধরে রাখতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে অর্থনীতিকে।
বৈশ্বিক সরবরাহ ইস্যুতে অর্থনীতির সংকট আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই একাধিক প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে অর্থনীতিকে তার পূর্ণ সম্ভাবনায় উন্নীত করা অতোটা সহজ নয় বলে মনে করছেন পোর্টার।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, জুলাই সংকোচনের পর আগস্টে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল দশমিক ৪ শতাংশ। জনস্বাস্থ্য বিধি শিথিল করার কারণে সেবা খাতের কার্যক্রম বৃদ্দির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছিল। বার ও রেস্তোরাঁর আউটপুট বেড়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, অ্যাকোমোডেশন সেবার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং আকাশ পরিবহণ সম্প্রারিত হয়েছে ২৪ দশমিক ২ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ছয় মাস দুই অংকের প্রবৃদ্ধি দেখল আকাশ পরিবহন খাত।
পশ্চিমে রেকর্ড পরিমাণ খরা ও তাপদাহের কারণে শস্যের উৎপাদন ১০ দশমিক ৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের যে দুর্বলতা তাতে ভূমিকা রাকছে কৃষি খাত। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা বলছে, ১৯৯৭ সালে তুলনামূলক উপাত্ত সংগ্রহ শুরু হওয়ার পর টানা দুই মাস খাতটির সংকোচনের ঘটনা এটাই প্রথম।