
মহামারির প্রথম কয়েক মাসে সশরীরে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত ছিল। জরুরি মামলাগুলোই কেবল পরিচালিত হয়েছে তাও ভার্চুয়ালি। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিধিবিধানের কারণে মহামারির মধ্যে খুব কম সংখ্যক মামলাই শুনেছেন জুরিরা। এতে মামলা জট তৈরি হয়।
এ মামলাজট কমাতে আগামী দুই বছরে ৭ কোটি ২০ লাখ ডলার (৭২ মিলিয়ন) ব্যয়ের পরিকল্পনা করছে অন্টারিও সরকার। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রদেশে হাজারো মামলা অনিস্পন্ন অবস্থায় রয়ে গেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল ডগ ডাউনি বলেন, এ অর্থের কিছু অংশ ব্যয় হবে নতুন করে ৩৪০ জন আদালক কর্মী নিয়েগে। এসব কর্মীর মধ্যে আছেন ক্রাউন প্রসিকিউটর, ভিক্টিম সাপোর্ট স্টাফ ও বেইল ভেটোর। অভিজ্ঞ ক্রাউন অ্যাটর্নি দ্রুত জামিনে সহায়তা করবেন।
তিনি বলেন, অতিরিক্ত এ কর্মী বিচার সক্ষমতা বাড়াতে ও বিচার ব্যবস্থায় আসা মামলার সংখ্যা কমিয়ে আনতে সহায়তা করবেন। পাশাপাশি বিচারাধীন মামলাগুলোর বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতেও সহায়তা করবেন তারা। হোমিসাইড ও অন্যান্য অপরাধের
মামলাগুলো প্রক্রিয়াকরণে অভিজ্ঞ প্রসিকিউটরদের নিয়ে একটি টিমও গঠন করবে প্রদেশ। ধারণক্ষমতা যাতে বৃদ্ধি পায় সেজন্য কিছু এলাকায় জায়গা ভাড়া নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে। পাশাপাশি রিমোট শুনানির জন্য প্রযুক্তির ব্যবহারও অব্যাহত রাখা হবে। সেই সঙ্গে ভার্চুয়ালি যাতে মামলা পরিচালনা করা যায় সেজন্য ডিজিটাল এভিডেন্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের মতো ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি চাই বিচার ব্যবস্থার বিলম্বের কারণে যেন হত্যা ও যৌন নির্যাতনের মতো মামলাগুলো স্থগিত না হয়। আমার মনে হয় না, আমার জীবদ্দশায় বিচার ব্যবস্থা এ ধরনের বিনিয়োগ দেখেছে। আমরা মনে হয় সঠিক ব্যক্তিকে দায়বদ্ধ করা ও অন্যদের ব্যবস্থাটির মধ্য দিয়ে পার করে দেওয়ার এটাই প্রকৃুত সুযোগ।