9.7 C
Toronto
শনিবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৫

স্ত্রী-শ্যালক নিয়ে ডাকাতি করতেন শহিদুল, অবশেষে পুলিশের জালে

স্ত্রী-শ্যালক নিয়ে ডাকাতি করতেন শহিদুল, অবশেষে পুলিশের জালে - the Bengali Times
ছবি সংগৃহীত

স্ত্রী ও শ্যালককে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে ডাকাতি করতেন মো. শহিদুল ইসলাম (৪০)। তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি মামলাও রয়েছে। এক কাতার প্রবাসীর বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে ডাকাতির অভিযোগে অবশেষে স্ত্রীসহ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার শ্যালককেও।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ভাওয়াল পূর্বপাড়া গ্রামের সোবহান মাতবরের মেয়ে মিনু আক্তার শারমিন (৩৮), তার স্বামী শহিদুল ইসলাম (৪০) ও শ্যালক আরিফ মাতবর (৩০)।

- Advertisement -

রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মলেনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর সদরের তাম্বুলখানা এলাকায় রাত পৌনে ২টার দিকে কাতার প্রবাসী চাঁন মিয়ার বাড়িতে ৭ জনের একদল ডাকাত গ্রিল কেটে ডাকাতি করে। তারা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে কানের দুল, চুড়ি, চেইন, আংটিসহ বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেট এবং নগদ অর্থসহ প্রায় ৮ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

ঘটনার পর পুলিশ তদন্ত করে ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ডাকাতদের চিহ্নিত করে। গত শনিবার (২১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট ওয়ারলেস পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ভাড়া বাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মিনু আক্তার শারমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে সালথার ভাওয়াল গ্রাম থেকে শহিদুলের শ্যালক আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহার হওয়া একটি হাওয়াই সেভেন-এ মডেলের মোবাইল ফোন সেট, প্রবাসীর বাড়ির সিসি ক্যামেরার ডিভিয়ার মেশিন, ছুরি, গ্রিল কাটার সেলাই রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার আরো জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাতরা গত ১৪ সেপ্টম্বর নগরকান্দায়ও ডাকাতি করেছে। বাগেরহাটের মোল্যার হাট, নারায়ণগঞ্জের পর রূপগঞ্জ ও ঢাকার খিলগাঁও এলাকার একাধিক বাড়িতেও ডাকাতি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। এই ডাকাত দলে আরো সদস্য রয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলমান আছে বলে জানান তিনি।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles