
ফল সেশনের প্রথম দুই সপ্তাহ বেশ ব্যস্ততায় কেটেছে অন্টারিওর আইনসভার। এই সময়ে সরকার নতুন আবাসন ও স্বাস্থ্য আইন উত্থাপন করেছে। বিরোধীদলও তাদের ভাষায় গ্রিনবেল্ট২.০ এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
গ্রিনবেল্টের কিছু অংশ উন্নয়নের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। আবাসনের নামে অন্য যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধেও নেমে পড়েছে বিরোধীরা। বিশেষ করে শহরের সীমানার কথা এক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখ্য।
এনডিপি প্রদেশের অডিটর জেনারেলের প্রতি এই সম্প্রসারণ পর্যালোচনা করে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের যুক্তি হলো গ্রিনবেল্ট থেকে জমি অবমুক্ত করার ফলে যেসব ডেভেলপার লাভবান হতো সেই একই ডেভেলপাররা মিউনিসিপালিটির সীমানা পরিবর্তনের কারণেও লাভবান হবে।
সরকার গ্রিনবেল্ট সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার পর জানিয়েছে গ্রিনবেল্টের জমি ফিরিয়ে দিতে তারা আইন আনবে। একই সঙ্গে গ্রিনবেল্টে সীমানা কোডিফাই করবে, যাতে করে ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন করা হলে তা যেনো কেবল নীতিমালার পরিবর্তে আইনের মাধ্যমে হয়।
সাশ্রয়ী বাড়ির সংজ্ঞায় পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি কবাস্তবায়ন করতে আইন প্রস্তাব করতে যাচ্ছে প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকার।
অন্টারিও অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে পরিকল্পনার চেয়ে ২৬০ কোটি ডলার কম ব্যয় করেছে। অন্টারিও ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টেবিলিটি অফিস (এফএও) বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে সরকার মোট ৪ হাজার ২০ কোটি ডলার ব্যয় করতে পেরেছে। ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই পরিমাণ অর্থ খরচ করেছে তারা। যদিও এই সময়ে ৪ হাজার ২৮০ কোটি ডলার ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ রেখেছিল প্রোগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকার। ব্যয় কম হয়েছে যেসব খাতে তার মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যসেবা।
সরকার স্বাস্থ্য বিল উত্থাপন করেছে। বিলটি পাস হলে অন্টারিও হেলথ অ্যাটহোম নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। সংস্থাটি অন্টারিও হেলথ টিমের মাধ্যমে অন্টারিওজুড়ে সব হোমকেয়ার সেবা সমন্বয় করবে।