
একে অপরকে সহায়তার লক্ষ্যে গত ৭ অক্টোবর জড়ো হন কানাডায় বসবাসরত আফগানরা। সেই সঙ্গে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত আফগানদের সহায়তা তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনাও করে তারা। ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজারের বেশি মানুষ।
আফগান সোসাইটি অব ক্যালগেরির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফরিদ তেইমোরি বলেন, আলবার্টা থেকে ১০ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরে পশ্চিম আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের ভিডিও দেখে তাকে খুব অসহায় মনে হয়েছে। এটা একটা অপরাধ, তাই নয় কি? তাদের সহায়তা করার কোনো সামর্থ্য আপনার নেই। যা কিছু ঘটেছে; সরকারের পতন এবং তার ওপর এই ভূমিকম্প ও লোকজনের বাস্তুচ্যুতিÑসত্য কথা বলতে সবই হৃদয়বিদারক। এই অবস্থায় আমরা যেটা করতে পারি তা হলো কিছু ডলার জোগাড় করে তাদের কাছে পাঠানো ও তাদের মঙ্গল কামনা করা।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে বলেছে, ৬ দশমিক ৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পের কেন্দত্র ছিল আফগানিস্তানের চতুর্থ বৃহত্তম প্রদেশ হেরাত থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরপশ্চিমে। স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর একাধিকবার ভূমিকম্প হয়।
ভূমিকম্পে পুরো গ্রাম মাটিতে মিশে যায়। অনেক মৃতদেহ ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে। সাহায্যের জন্য লোকজন অপেক্ষা করতে থাকে। তাদের হাতে শাবলটা পর্যন্ত ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, লোকজন ধ্বংস্তুপের নিচ থেকে আটকাপড়া লোকজনকে বের করে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে। খালি হাতেই তারা এটা করছে। এটা দেখা সত্যিই ভয়ঙ্কর।
৭ অক্টোবর শেষ রাত পর্যন্ত ক্যালগেরির যে ৩৫ জন আফগান নাগরিক খবর দেখার জন্য জড়ো হয়েছিলেন তিনি তাদের একজন। জড়ো হওয়া ব্যক্তিদের অনেকেই হেরাতের অধিবাসী। তেইমোরির স্ত্রীও হেরাত থেকেই এসেছেন। সৌভাগ্যবশত তাদের সবাই দেশে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সমর্থ হন।
তহবিল সংগ্রহের চূড়ান্ত কাজ করতে এই গ্রুপটি ৮ অক্টোবর আবারও সমবেত হন। শিগগিরই এই তহবিল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাম করেন তেইমোরি।