11.6 C
Toronto
রবিবার, মার্চ ১৬, ২০২৫

‘আমি প্রতিদিন ২০ বার মৃত্যুকে দেখি’

‘আমি প্রতিদিন ২০ বার মৃত্যুকে দেখি’
সৌদ আল আলেম

ফিলিস্তিনি শহর আল-মাজদাল থেকে ১৯৪৮ সালে পালাতে বাধ্য হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার মুসলমান। এদের একজন ছিলেন সৌদ আল-আলেম। ওই সময় সৌদ ছিলেন তরুণী। ইসরায়েলি শহর অ্যাশকেলনের অংশ বনে যাওয়া এলাকা থেকে পালিয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন গাজা উপত্যকায়।

সৌদের বয়স এখন ৯০ বছর। এই বয়সে তিনি পুনরায় নিজের বাসস্থান ছেড়ে ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে।

- Advertisement -

৭ অক্টোবর গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়েছে গত সপ্তাহে। এখনও নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে ইসরায়েল।

সিএনএনকে সৌদ আল-আলেম বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ২০ বার মৃত্যুকে দেখি, আকাশে ও পৃথিবীতে। এমনকি প্রতিটি বিস্ফোরণের শক্তি আমাদের মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রভাবিত করে। এটি আমাদের পাশে বা কাছাকাছি হলে মনে হয় এটি আমাদের মাথার উপরে বিস্ফোরিত হচ্ছে।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের সহযোগিতায় অস্ত্রের জোরে প্রায় সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে ইসরায়েল। আল-আলেমের মতো, আজ যারা গাজায় বসবাস করেন তাদের অর্ধেকেরও বেশি হয় উদ্বাস্তু নতুবা তাদের সরাসরি বংশধর। ইসরায়েল কখনও এসব ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে দেয়নি। নিজেদের বিপর্যয়ের এই ঘটনাকে ফিলিস্তিনিরা বলে ‘নাকাবা’।

আল-আলেম দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের একটি অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরের তাঁবুতে বসে সিএনএনকে বলেন, ‘আমি ১৯৪৮ সালের নাকবার সময় ছিলাম এবং এখন আমি ২০২৩ সালের নাকবাতে বাস করছি। এই দ্বিতীয়টি আরও খারাপ।’

ফিলিস্তিনি এই বৃদ্ধা জানান, তিনি ১০ দিন আগে তীব্র বোমা হামলার মধ্যে তার বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে তিনি ঠিকভাবে খাবার পাননি এবং গোসলের সুযোগও পাননি। ডায়াবেটিকের রোগী হয়েও তিনি নিয়মিত খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles