9 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

পৃথিবী বদলে যাও

পৃথিবী বদলে যাও
আসমান থেকেও শোনা যায় ধুরুম ধুরুম বারুদ মিশ্রিত ক্রন্দন এসব পৃথিবীরই দান

আসমান থেকেও শোনা যায় ধুরুম-ধুরুম বারুদ মিশ্রিত ক্রন্দন। এসব পৃথিবীরই দান। এই মাত্র ইতিহাস পড়ে জানতে পারলাম কিছু কিছু যুদ্ধ সভ্যতার চেয়েও পুরাতন। কিছু ধ্বংসস্তূপ পাহাড় ডিঙ্গিয়ে হয়েছে আসমান সমতুল্য।

আকাশ এখন বাজপাখির দখলে। পাখিদের পেটে অনেক ধোঁয়া। ওদের প্রসব বেদনা বাড়ে নিত্যনতুন। ফলত: প্রতিদিন নিচে নেমে আসছে দালানকোঠা। মানুষ এখন বালুকণা। পিঠের উপরে পিঠ। উচ্চতা মেপে শেষ করা যায় না।

- Advertisement -

কোথাও কোথাও মানুষ জাগে সূর্য ওঠার আগে। প্রতিদিন তারা নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে। যদিও জানে না সম্মুখ, তা ঠিক কতদূর। তবুও পদব্রজে করে বিশ্ব আবিষ্কার। কেউ বাড়ি ফেলে চলে যায় যোজন যোজন দূর। কতেক দিকবেদিক ছুটে মা মা চিৎকারে। পক্ষ বিপক্ষ উভয়ের লক্ষ্য বাড়ি ফেরার পথ। অথচ সবই যায় বিফলে।

কিছু চোখে প্রতিশোধ তালিকা আলোকবর্ষ সম। ওদের মুখ জুড়ে তাড়িয়ে দেবার অহংকার। সঙ্গত কারণেই বিমানবন্দরে ট্রাফিক জ্যাম। সুট টাই পরা সাহেব উড়ে এসে পিঠ চাপড়ায়। বেশ বেশ বেশ।

ফিরে আসা যাক খবর সমাচারে। মসজিদ গির্জা সিনাগগকে পাশ কেটে মানুষ খোঁজে নিরাপদ শেল্টার। এই বুঝি আসে, চশমে বদ্দুর সোনার মতো পানি বিস্কুট। দিনান্তে, ওরা থার্মোমিটার দিয়ে মাপে ক্ষুধার্ত থাকার চিৎকার।

এদিকে, যে সঙ্গীত ভক্তরা জ্যোৎস্না রাতে গিয়েছিল বনে। তাদেরও হাত পা চোখে ব্যান্ডেজ আধিপত্য। রক্তাক্ত। গলিত। এবার ওদের মা বাবাও ধীর-স্থির মূর্তি বহমান।

কাজেই, পিঠ ঠেকা দেওয়াল সর্বত্র। সম্মুখে হাঁটে লাশ। ছোট বড় সাদা কালো লাশদের হাতে শান্তির ফ্ল্যাগ। সঠিক অর্থে গোটা কবরস্থান নড়েচড়ে বসেছে। অতএব, জীবন বাকি থেকে যায় নগদের কাছে।
দেখা যাক।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles