
মুম্বাইয়ের একটি প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। প্রায় এক মাস কারাবাসের পর জামিন পেয়েছেন আরিয়ান। এবার জানা গেল, যেভাবে আরিয়ানের মাদক পার্টির খবর পেয়েছিল এনসিবি।
মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ দাবি করেছিলেন, আরিয়ানের মামলার মূল চক্রান্তকারী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এনসিপি নেতা সুনীল পাটিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে সুনীল জানান, প্রমোদতরীতে আরিয়ানের ‘মাদক পার্টির’ খবর তাকে জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ঘনিষ্ঠ একজন।
জানা গেছে, কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সেই ঘনিষ্ঠ লোকটি হলো নীরজ যাদব। সুনীলের বক্তব্য কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন নীরজ। তিনি বলেন, ‘মনীশ ভানুশালী ও কিরন গোসাভিকে পার্টির খবর দিয়েছিলেন তিনিই। এনসিবিকে খবর দেন মনীশ।’
এদিকে ৩ অক্টোবর ভারতের নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) যখন প্রমোদতরীতে অভিযান চালায়, তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাক্ষী কিরন গোসাভি ও বিজেপি কর্মী মনীশ ভানুশালী।
মনীশকে আগে থেকে চিনলেও কিরন গোসাভিকে চিনতেন না এনসিপি নেতা সুনীল পাটিল। মনীশের বিরুদ্ধে অভিযোগও করে সুনীলের ভাষ্য, ‘আমাকে জোর করে আটকে রেখেছিল মনীশ ভানুশালী। দিল্লির হোটেলে মারধর ও হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
অন্যদিকে বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ বলেছিলেন, ‘১ অক্টোবর স্যাম ডি’সুজাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন সুনীল পাটিল। প্রমোদতরীর পার্টিতে ২৭ জন বেআইনি মাদক নিতে চলেছে, সেই তালিকা তার কাছে রয়েছে। নারকোটিকস দপ্তরের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে বলেন সুনীল। সেই অনুযায়ী মাদকবিরোধী সংস্থার অফিসার ভিভি সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন ডি’সুজা।
সূত্র: জি নিউজ