
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী (২২)। কিন্তু স্বামীর (৩২) সন্দেহ সেই সন্তান তার নয়। স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়েই কথা কাটাকাটি। শেষ পর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী। সম্প্রতি ভারতের কর্নাটকে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অভিযুক্ত স্বামী ডি কিশোর একজন পুলিশ কনস্টেবল। গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রতিভার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, সন্তানের জন্মের পর বাপের বাড়িতেই থাকছিলেন প্রতিভা। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করতেন কিশোর। এছাড়াও স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন তিনি। ছেলে হওয়ার পর সেই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।
প্রতিভার বাবা জানান, গত সোমবার স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল তার মেয়ে। এ সময় কথা কাটাকাটি হলে কাঁদতে কাঁদতে ফোন কেটে দেন প্রতিভা। পরে তার মা মেয়েকে কয়েকদিন কিশোরের ফোন না ধরতে বলেন। কিন্তু পর দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিভা দেখতে পান কিশোরের নম্বর থেকে ১৫০টি মিসড কল।
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে এসে স্ত্রীর উপর চড়াও হন কিশোর। প্রতিভার মা তখন ছাদে ছিলেন। সন্তানকে নিয়ে ঘরে একাই ছিলেন তরুণী। তাকে জোর করে একটি ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন কিশোর। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করেন। পালানোর আগে তিনি শাশুড়িকে বলেন ‘আমি ওকে মেরে ফেলেছি!’
এ ঘটনায় কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।