
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে লন্ডনের বিক্ষোভে তিন লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন বলে জানিয়েছে লন্ডন পুলিশ। তবে আয়োজকদের দাবি, বিক্ষোভে ৮ লাখ মানুষ ছিল। আর এই বিক্ষোভ যাতে না হয় সেই পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছিল সরকার। তবে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ সেই অনুরোধ নাকচ করে বলেছিল, বিক্ষোভে বড় ধরনের সহিংসতা হওয়ার কোনো ইঙ্গিত বা আশঙ্কা নেই।তাই সরকারি অনুরোধে এ বিক্ষোভ বন্ধ করার সুযোগ নেই।
তবে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভকে ‘বিদ্বেষমূলক মিছিল’ বলার পর উত্তেজনা বাড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই পক্ষের বিক্ষোভকারীর মধ্যে যাতে সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে এ জন্য বরং পাল্টা বিক্ষোভ করতে নামা ৮২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আমরা উপরের ঘটনা থেকে যা শিখলামঃ-
১। পুলিশের পারমিশন নিয়েই স্মরণকালের বিক্ষোভ হয়েছে।
২। এ বিক্ষোভ বন্ধ করতে সরকারী নির্দেশ বা অনুরোধ পুলিশ না শুনে নিজেদের স্বতন্ত্র বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছে।
৩। পুলিশের পর্যবেক্ষণ সঠিক ছিল, ৮ লাখ লোকের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।
৪। বরং পাল্টা সমাবেশ যারা করেছে তাদেরকে পুলিশ নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছে এবং সেখান থেকে ৮২ জনকে আটক করেছে।
৫। লন্ডন পুলিশের নিজস্ব স্বাতন্ত্রতা রয়েছে। সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উস্কানি দিলেও পুলিশ স্বাধীনভাবে এবং প্রভাবমুক্তভাবে কাজ করতে পারে বলেই দলমত নির্বিশেষে তাদের প্রতি মানুষের আস্হা রয়েছে।
স্কারবোরো, কানাডা