
টরন্টোর দি ওয়েল ভবনে স্থান হয়েছে ইন্ডিগো বুকস অ্যান্ড মিউজিক ইনকর্পোরেশনের নতুন স্টোরের। স্টোরের বই ও অন্যান্য সামগ্রীর সারিতে হেঁটে বেড়িয়ে হিদার রিজম্যানের মন ভরে গেছে।
স্টোরের স্টেশনারি সেকশনের উপরে ঝুলতে থাকা স্থানীয় গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া শিল্পকর্ম ও বেটি মেডলারের ১৯৯০ সালের জনপ্রিয় সংগীত ‘ফ্রম ডিসট্যান্স’-এর তিনি প্রশংসা করেন। শিশুদের সেকশনের শিল্পকর্ম ও হস্তশিল্পও তার প্রশংসা কুড়িয়েছে। তিনি বলেন, শিশুরা এখানে আঁকতে পারবে। এটা আমি বাড়িতেও করি।
২৭ বছর ধরে তার কোম্পানি ১৭১টি স্টোর পরিচালনা করে আসছে। দি ওয়েলের স্টোরটিকে বিশেষ কিছু নাও মনে হতে পারে। তবে রিজম্যানের কাছে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রথম পর্ব। তার কাছে যেমন একইভাবে তার কোম্পানির জন্যও।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। ১৯৯৬ সালে শুরু করা টরন্টোভিত্তিক বুকস্টোরের নিয়ন্ত্রণ তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এটাকে তিনি লাইফস্টাইল রিটেইলারে সম্প্রসারণ করেন। যেখান থেকে আপনি সেক্স টয় থেকে শুরু করে উডেন বেড ফ্রেম, কাস্ট আয়রন ডাচ ওভেন এবং কোলাজেন পাউডার কিনতে পারেন।
গত বছর পর্যন্তও রিজম্যান ইন্ডিগোর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেন। এরপর জন লুইস, অ্যান্থপোলজি ও জিগশতে কাজের অভিজ্ঞতা থাকা রিটেইল নির্বাহী পিটার রুইসের হাতে দায়িত্ব তুলে দেন। গত আগস্টে রিজম্যান পর্ষদ থেকে বিদায় নেন। অর্থাৎ, অবসরে যান। একজন প্রতিষ্ঠাতার জন্য এটা কঠিন সিদ্ধান্ত।
তার প্রস্থানের পর গত আগস্টে সাইবার হামলার শিকার হয় ইন্ডিগো। হামলায় ইন্ডিগোর ওয়েবসাইট ধসে পড়ে এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্রয় বন্ধ হয়ে যায়। ইন্ডিগোর ১০ পরিচালকের মধ্যে চারজন এরপর পর্ষদ ছাড়েন। পর্ষদ নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারানো ও মূল্যায়ন না পাবার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন ড. চিকা স্ট্যাসি ওরিউয়া। তবে তার এই অভিযোগ নিয়ে আর এগোয়নি ইন্ডিগো।
অভ্যন্তরীণভাবে তিনি কী পরিবর্তন আনতে পারেন? ওরিউয়ার অভিযোগ নিয়েই বা কী বলবেন? বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে রিজম্যান বলেন, আপনারা সবাই সাংবাদিক। আপনারা যা লেখেন তার সবই কি আপনারা বিশ^াস করেন? এটাই আমি বলতে চাই।
এখন তিনি চান, সবাই তার নতুন স্টোরে আসুক এবং তাদের মধ্যে এই অনুভূতি তৈরি হোক যে, তারা একটি সুখের স্থান খুঁজে পেয়েছে। তারা যদি সেটা বলেন, তাহলেই আমি খুশি।