7.9 C
Toronto
শুক্রবার, মার্চ ১৪, ২০২৫

পশু চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে

পশু চিকিৎসকদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে
নোভা স্কশিয়ার পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পোথিয়ের বলেন কিন্তু এখন সবাই অবসাদের কথা বলছে এবং কাজটি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে

কর্মী সংকট, রোগাক্রান্ত প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ও দিন-রাত কাজের চাপে কানাডার পশু চিকিৎসকদের মধ্যে অবসাদ বাড়ছে। সেই সঙ্গে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও অবনতি হচ্ছে।
১৯৮৫ সাল থেকে নোভা স্কশিয়ার ডিগবিতে একটি পশু হাসপাতাল পরিচালনা করছেন পশু চিকিৎসক নিল পোথিয়ের। তিনি বলেন, প্রাণিদের যত্ন নেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। কিন্তু কাজটা তিনি সব সময়ই ভালোবাসেন।

নোভা স্কশিয়ার পশু চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পোথিয়ের বলেন, কিন্তু এখন সবাই অবসাদের কথা বলছে এবং কাজটি ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে। পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। অনেক গ্রামীণ এলাকা থেকে ২৪ ঘণ্টাই জরুরি কল আসছে, যা বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এমনটা আগে কখনো দেখঅ যায়নি। লোকজন এমন অবস্থার মধ্যে পড়ে যাচ্ছে যে, তারা বুঝে উঠতে পারছে না কী করবে। আমাদের পেশার লোকদের মধ্যে আত্মহত্যার হার এমনিতেই অনেক বেশি, যেটা বেশ আতঙ্কের।

- Advertisement -

২০২২ সালের সংকলিত সমীক্ষা উপাত্ত বলছে , সাধারণ মানুষের তুলনায় কানাডার পশু চিকিৎসকদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা অনেক বেশি।

আমেরিকান ভেটেরিনারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকীতে প্রকাশিত সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ হাজার ৪০৩ জন পশু চিকিৎসকের মধ্যে ২৬ দশমিক ২ শতাংশ আগের ১২ মাসে আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার ২০২২ সালের উপাত্ত অনুযায়ী, ২ দশমিক ৫ শতাংশ কানাডিয়ান সর্বশেষ এক বছরে আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন।

পোথিয়েরও আত্মহত্যার কারণে তার সহকর্মীদের হারিয়েছেন। তিনি বলেন, মহামারির সময় পোষ্যের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার কারণে ভেটেরিনারি কর্মীদের ওপর চাপ বেড়েছে। ভেট টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান ও ভেটসের স্বল্পতা এ চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
পোথিয়ের বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় পোষ্যের সংখ্যায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। বাড়িতে বসে থাকা প্রত্যেকেই এই চিন্তা করেছিলেন যে, তার একটি পোষ্য থাকলে মন্দ হয় না। এরপর থেকে এটা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। মহামারি শুরু হওয়ার দুই বছর রোগে ভোগা পোষ্য ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

নোভা স্কশিয়ার ইয়ারমাউথের কাছে একটি পশু হাসপাতাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এ বছরের গোড়ার দিকে পোথিয়েরের কাছে আসা রোগাক্রান্ত পোষ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার বয়সী যে দুজন পশু চিকিৎসক হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছেন তারা অবসাদে ভুগছিলেন। তারা কোনো সহায়তা পাচ্ছিলেন না। বাধ্য হয়ে এ পেশা থেকে বেরিয়ে এসেছেন।

নিউ ব্রান্সউইক ভেটেরিনারি মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের রেজিস্ট্রার নিকোল জিউয়েট বলেন, প্রদেশের ভেটেরিনারি কর্মীদের ওপর বর্তমানে চাপের যে মাত্রা তা ১৮ বছর আগে তিনি যখন এ পেশায় আসেন তার তুলনায় অনেক বেশি। ভেটেরিনারিয়ান ও নিবন্ধিত ভেটেরিনারি টেকনিশিয়ানদের অনেকই পেশা পুরোপুরি ছেড়ে দিচ্ছেন। অথবা স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে ছুটিতে যাচ্ছেন।

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles