
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা তাদের সর্বশেষ বেকারত্বের প্রতিবেদনে যে বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছে তাতে সম্ভাব্য বড় সমস্যারই ইঙ্গিত মিলছে। অভিবাসনের ওপর ভর করে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে গত কয়েক মাস ধরে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি কীভাবে পিছিয়ে পড়ছে সেগুলোই নথিবদ্ধ করে আসছে সংস্থাটি। ৩ নভেম্বর প্রকাশিত তাদের সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপেও (এলএফএস) সেটাই করা হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসের দিকে ফিরে তাকিয়েছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা।
সর্বশেষ বেকারত্বের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে বেকারত্ব বেড়েছে মাসিক গড়ে ২৮ হাজার। অন্যদিকে ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যা বেড়েছে মাসে গড়ে ৪১ হাজার।
মাসিক ৮১ হাজার জনসংখ্যা বৃদ্ধি কেবল ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মধ্যে। সুতরাং, সার্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি আরও বেশি হবে। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, বেকারত্বের হার স্থিতিশীল রাখতে প্রতি মাসে আমাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রয়োজন ৫০ হাজার।
চলতি বছরের জানুয়ারি, মে ও জুন মাসেই কেবল সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো গেছে। বাকি মাসগুলোতে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধি অনেক পিছিয়ে পড়েছে। অক্টোবরে চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল মাত্র ১৮ হাজার। অথচ মাসটিতে শ্রমবাজারে যুক্ত হয়েছে ৮৫ হাজার মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই বেকারত্বের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।