6 C
Toronto
শনিবার, মার্চ ১৫, ২০২৫

এ কেমন চলে যাওয়া!

এ কেমন চলে যাওয়া!

আসাদটা চলে গেলো! কোনো মানে হয় না। এটা তো চলে যাওয়ার বয়স না! এতো তাড়াতাড়ি চলে যেতে হবে! কেউ কি দুটো ফুলের মতো কন্যা সন্তান, ভালবাসার স্ত্রী আর অসংখ্য প্রিয়জনদের ছেড়ে চলে যায়! আসাদকে চিনি প্রায় তিরিশ বছর থেকে। তখন সদ্য যুবা আসাদ। সুদর্শন। ছাত্র রাজনীতি করত। ঢাকার শ্যামলী অফিসে আসত প্রায়ই। আড্ডা দিত আমার সাথে। তারপর একদিন কানাডায় পারি জামালো। প্রায়ই দেখা হতো কনকর্ড ফার্নিচারে। খুবই হাসিখুশী বন্ধু বৎসল ছিল বরাবর। স্বপ্নবাজ ছিল। রিস্ক টেকার ছিল। জীবনকে দেখত সহজভাবে। দুঃখ কষ্ট স্পর্শই করত না। আমাকে সবসময় বলত ভাই চাকরি বাকরি বাদ দেন। চাকরি করে কেউ কিছু হতে পারেনি। ব্যবসা করেন।

- Advertisement -

দেশে থাকলে কতকি করতে পারতেন। বাড়ি, গাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স থাকত। নিজের চোখেইতো দেখেছি। কিন্তু কিছুই করলেন না। আমি বলতাম, সবাই সব পারে না রে। সবার সব হয় না। আসাদের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল মাস কয়েক আগে ডেন্টোনিয়া পার্কে একটা অনুষ্ঠানে। ততদিনে অসুস্থ্যতা অনেকদূর গাড়িয়েছে। সানিব্রুক হাসপাতালে ক্যান্সারের সাথে লড়াই চলছে। অনন্ত লড়াই। কয়েকদফা হাসাপাতালে আর রিহ্যাবে যেতে হয়েছে।

কেমো দেওয়া চলছিল। আমাকে বলল, দেখেন আঙুলগুলো কেমন হয়ে গেছে. মাথায় চুল নাই। ভাই কোমো ইনজেকশন অনেক কষ্টের। সারাজীবন দিতে হবে। কিন্তু চোখে মুখে কষ্টের কোনো ছাপ ছিল না। ছিল বাঁচার স্বপ্ন। ভবিষ্যতের স্বপ্ন। কিন্তু ঘাতক ক্যান্সারের সাথে কিছুতেই পেরে উঠল না। কিছুতেই না। শেষ পর্যন্ত চলে গেলো!

টরন্টো ২৮ নভেম্বর ২০২৩

- Advertisement -

Related Articles

Latest Articles