এখন পর্যন্ত যেরকমটা দেখা যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে যেই জয়লাভ করুক, বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করায় কোন সমস্যা হবে না। বরং কেন্দ্রে ভোটারদের সাজানো লম্বা লাইন না দেখিয়ে প্রকৃত পক্ষেই বিপুল সংখ্যক না হলেও অনেক ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনা সম্ভব হবে যদি নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ করার ব্যবস্হা নেয়া হয়। যাঁরাই নির্বাচনে আসছে, ভুঁইফোড়, স্বতন্ত্র সকলের মধ্যেই একটা আস্হা আনার ব্যবস্হা যদি করা যায় যে ভোট গ্রহণে কোন ধরনের প্রশাসনিক ও অন্যান্য হুমকি ধামকি বা বাঁধা প্রদান করা হবে না বরং যাঁরাই কেন্দ্রে আসবে তারাই তাদের নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্ভয়ে ও নিঃসংকোচে ভোট দিতে পারবে তাহলেও কিছুটা ভাবমূর্তির উন্নতি হতে পারে। মানুষ যে পরিবর্তন চায় সেটা সরকার কিছুটা উপলদ্ধি করে বলেই তাদের নমিনেশনে তিন প্রতিমন্ত্রী সহ পুরনো ৭১ জনকে এবার দলের টিকিট দেয়া হয় নি।
বাকী ২২৯ জন সহ জোটের শরীক তথা জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কাউকেই সরকারের ফেভার নিয়ে পাস করে আসতে দেয়া ঠিক হবে না। আগেই বলেছি, এবারের নির্বাচনে যাঁরাই জয়লাভ করুক তাতে সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সমস্যা হবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, কোনভাবেই কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যেন পাস না করতে পারে সেটা কঠোরভাবে খেয়াল রাখা হবে। প্রতিবছর বিদ্রোহী প্রার্থী যাতে না দাঁড়াতে পারে তার জন্যে গলদঘর্ম হতে হয়। অথচ এবার তিনি নিজেই মনোনয়ন বঞ্চিতদের বিদ্রোহী প্রার্থী হতে উৎসাহিত করেছেন। অবস্হাদৃষ্টে মনে হচ্ছে একই দল থেকে একজন প্রার্থী দলীয় প্রতীক পেলেও বাকীদেরও নির্বাচন করতে দলের পক্ষ থেকে কোন বাঁধা বা নিষেধ নেই। ফলে নির্বাচনটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে বাঁধা নেই। কিন্তু কোন কারণে যদি নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা ভোট কারচুপির অভিযোগ করে তাহলে সেটা বেশী ক্ষতি হবে।
এছাড়া জোট বা মহাজোটের নামে দীর্ঘদিন নিজ দলের যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অন্যদলের অজনপ্রিয় ও গণবিচ্ছিন্ন নাম সর্বস্ব অনেককেই এমপি বানিয়ে সংসদে আনা হয়েছে। তাদের এবার নিজেদের যোগ্যতায় এমপি হবার সুযোগ করে দিয়ে পরীক্ষা নিয়েও দেখা যেতে পারে যে বিগত পনের বছরে তারা এলাকাবাসীর কতখানি মন জয় করতে পেরেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরকমটা করবেন কি!
স্কারবোরো, কানাডা