
পাঁচ সপ্তাহ আগে ইসরায়েলে হামাসের হামলার সময় কানাডিয়ান যে শান্তিকর্মীকে জিম্মি করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছিল তিনি নিহত হয়েছেন। তার ছেলে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ভিভিয়ান সিলভারের ছেলে চেন জেইজেন বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কিববুজে ৭৪ বছর বয়সী এক নারীর মরদেহ খুঁজে পেয়েছে বলে তাকে জানিয়েছে। কিন্তু এখন সেটি শনাক্ত হয়েছে। সেখানেই ভিভিয়ান সিলভার বসবাস করতেন।
অটোয়াতে জেইজেন সাংবাদিকদের গত মাসে বলেন, তার মার জন্ম উইনিপেগে এবং ১৯৭৪ সালে তিনি ইসরায়েলে চলে যান। শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরিতে সারা জীবন ব্যয় করেন তিনি।
গাজার শিশুরা যাতে স্বাস্থ্যসেবা পায় সেজন্য স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করেন সিলভার।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা বলেছে, কর্মকর্তারা সিলভারের কানাডিয়ান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে য্গোাযোগ করছেন এবং তাদের সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন।
এক বিবৃতিতে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা বলেছে, কানাডিয়ান-ইসরায়েলি নাগরিক ভিভিয়ান সিলভারের মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে কানাডা সরকার গভীর দুঃখ প্রকাশ করছে। কঠিন এই সময়ে তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের সমবেদনা রইল।
গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এর আগে ৭ অক্টোবরের হামলায় কানাডার ছয় নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছিল। এ ছাড়া আরও একজনের নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছিল, যার কানাডার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তবে তিনি কানাডার নাগরিক নন।
অটোয়ায় ইসরায়েলি দূতাবাসের এক মুখপাত্র ১৩ নভেম্বর বলেন, ভিভিয়ান সিলভারের মরদেহ শনাক্ত করার বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করছি।
টরন্টোতে ইসরায়েলের কনসাল জেনারেল ইডিট শামির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেন, সিলভার নিহত হয়েছেন।
সিলভার যে সংগঠনে কাজ করতেন সেই উইমেন ওয়েজ পিচও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে এক্স-এ বিবৃতি দিয়েছে।